আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর-বাইন্যাছোলা সড়ক

ভাঙাচোরা সড়কে চলাচলে ভোগান্তি

সালাহউদ্দিন জিকু, ফটিকছড়ি : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৭ জুন ২০২৪ ০৮:২০:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

ফটিকছড়ির উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের দুঃখখ্যাত 'তেমুহনী-বাইন্যাছোলা' সড়কের বেহাল দশা। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হয় ফটিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষকে। সড়কটির বেহাল দশার কারণে যানবাহনসহ যাত্রীসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন, পাথর, ইটের খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে এ সড়কে যাতায়াত করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

 

উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অফিস(এলজিইডি) সূত্র বলছে, সড়কটির সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে কয়েকবার টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের খরচের টাকার মিল না হওয়ায় তা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে ময়লা পানি জমে আছে। এতে পথচারীদের জামাকাপড় নষ্ট হচ্ছে। আবার অনেক জায়গায় গর্তের মধ্যে আটকে যাচ্ছে অটোরিকশা। কিছু জায়গায় গর্তের কারণে সংকুচিত হয়ে গেছে সড়ক। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তা ভাঙাচোরা থাকায় যানবাহনের চালকরা গতি কমিয়ে যাতায়াত করছেন।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সড়কে বর্ষায় কাঁদা ও শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালির কারণে চলাচল করা মুশকিল। সড়কটি দ্রুত সংস্কার হলে এ এলাকার কয়েক হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে।

 

স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হলে এই একমাত্র সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। অতচ এই সড়কটি ব্যবহার করতে গিয়ে ড্রেস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাটা চলা করা যায় না। পানির নিচে থাকা গর্তে গাড়ীর চাকা পড়ে উল্টে যাচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে চলা চল করতে হচ্ছে সবাইকে।

 

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী তন্ময় নাথ জানান, সড়কটির সংস্কারের জন্য এই পর্যন্ত ৪ বার টেন্ডার হয়েছে। আগের ৩ বারের টেন্ডারে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের খরচের টাকার মিল না থাকায় বারবার পিছিয়ে গেছে। সর্বশেষ টেন্ডারে ২ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার অংশ নেয়। আশাকরি এবার কাজটি দ্রুত হয়ে যাবে।