আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির উপর রয়েছে নানামূখী কৃত্রিম চাপ।দলের হাজারো নেতা কর্মী রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে মানবেতর সময় পারাপার করছেন। সরকারের কিছু অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও এখন অধিকাংশ মানুষের নাগালের বাইরে।এহেন পরিস্থিতিতে অনেক পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য কারাগারে বন্দী। অনুরূপ একটি রাজনৈতিক মামলায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল কায়ছার আহমদ মুন্না নামের এক যুবককে।কায়ছার আহমদ মুন্না চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া থানার অন্তর্গত সুখছড়ি নয়াপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। উক্ত মুন্না ১১/১১/২০২৩ ইং তারিখে থ্যালেসেমিয়া রোগে আক্রান্ত তার শিশুকে রক্ত দান করতে যাওয়ার পথে লোহাগড়া থানার পুলিশ তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে।গ্রেফতারের পর উক্ত মুন্নাকে ১০ দিন আগে লোহাগড়া থানায় দায়েরকৃত একটি রাজনৈতিক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।পরের দিন তথা-১২/১১/২০২৩ ইং তারিখে আদালতে প্রেরণ করেন।বর্তমানে উক্ত মুন্না চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল হাজতে দিনাতিপাত করছেন।
এদিকে উক্ত মুন্নার পিতা আব্দুস ছবুর সন্তানের গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনার পর থেকে সন্তানের জামিন বিষয়ে নানান অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তায় বিগত-২৯/১১/২০২৩ ইং তারিখে হার্ট স্ট্রোক হন।তৎপরবর্তীকালে মুন্নার পিতাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হলে অবস্থার কোন উন্নতি না হয়ে গতকাল তথা ০৪/১২/২০২৩ ইং মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে পরলোক গমন করেন।
অবশেষে কাইছার আহমদ মুন্নার পরিবার তাকে বাবার জানাজায় অংশগ্রহণ করা বা শেষবারের মত বাবার চেহারা টুকু দেখাতে ব্যর্থ্য হয়ে হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।
উত্ত মুন্নার আইনজীবী মো: বেলাল উদ্দিন যোগাযোগ করলে উনি বলেন, আসামীর বাড়ি কারাগার থেকে বেশ দূরে অবস্থিত হওয়ায় নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে উক্ত প্যারোলে মুক্তির আবেদন খারিজ করা হয়।