ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং এর ফকিরাচাঁন এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন করছে একটি মহল। দুইটি নৌকা ও ১০/১২ জন শ্রমিক নিয়ে বালু উত্তোলন করে বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে মহলের বিরুদ্ধে। অবৈধ বালুর এই মহালের নেতৃত্ব দিচ্ছে সাবেক মেম্বার বদিউল আলম, মনির আহমদ, মান্নান নামের তিনজন ব্যক্তি। দেশের আইনকানুন, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে দিনেরাতে বালু উত্তোলনসহ হালদা নদীর পাড় কেটে মাঠি বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তাদের ব্যাপারে। ইলিয়াস নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, হালদা পাড়ের মাঠি কাটার ফলে আমার ১ একর ৩৫ শতক জায়গার অনেক অংশ হালদায় বিলিন হয়ে গেছে। সাবেক মেম্বার বদি গং এই কর্মকান্ডে জড়িত।
১৯ জানুয়ারী সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, একটি নৌকায় ৭ থেকে ৮ জন শ্রমিক বালু এনে ট্র্যাক্টর করে অনত্র বিক্রি করছে। এসময় মনির নামের ব্যক্তি বালু বিক্রির কাজে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া একটি ভূঁড়ে (বাঁশের ডিঙ্গি) করে অন্য এক শ্রমিক নদী থেকে বালু তুলছে। এদিকে সাংবাদিকদের অবস্থান দেখতে পেয়ে মনির আহমদ বদি মেম্বার ও মান্নানকে ফোন করে ডেকে আনে। এসময় তারা অবৈধ বালু ব্যবসার কথা স্বীকার করে এবং সাংবাদিকদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।
এ ব্যাপারে, স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর মিয়া কোম্পানি বলেন, তাদের মৌখিকভাবে অনেকবার নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা মানতে নারাজ। তাদের অবৈধ এ ব্যবসার ফলে প্রতিদিন ডাম ট্রাক, জীপ, ট্যাক্টর যাতায়ত করায় রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অবৈধ বালু মহাল বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
পাইন্দং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম সরওয়ার হোসেন স্বপন বলেন, বালু উত্তোলন ও মাঠি কাটার ব্যাপারে আমি জানতে পেরেছি। স্থানীয় মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়েছি হাতেনাতে তাদের আটক করার জন্য। বদি মেম্বারের ব্যাপারে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার তাদের ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে আনা হবে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহিনুল হাসান বলেন, বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই এলাকায় আগেও অভিযান চালানো হয়েছে। এ পয়েন্টের ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।