আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফটিকছড়ির নারায়ণহাট বাজার শেড স্থায়ী দোকানীদের দখলে!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:২৫:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট বাজারের সরকারী শেড স্থায়ী দোকানীদের দখলে চলে গেছে। জেলা পরিষদের নির্মিত ১১টি শেড থাকলেও অধিকাংশই দখল করে দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণ করছে প্রভাবশালী দোকানীদের একটি গ্রুপ। সরকারি বাজার শেড ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সংরক্ষণের কথা থাকলেও সেখানে স্থায়ী দোকানীরা দখল করে রাখায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সচেতন মহল। বর্তমানে সরকারি শেড ছেড়ে সড়কের পাশে বসে কেনা-বেচা করতে হচ্ছে শতশত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।

 

জানা গেছে, নারায়ণহাট বাজারের ক্ষুদ্র ও  কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী প্রান্তিক চাষীদের জন্য শেডগুলো নির্মাণ করে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। পরবর্তীতে নতুন শেডে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কিছু দিন কেনা -বেচা সুযোগ পেলেও এটির দখল চলে যায় স্থায়ী দোকানীদের হাতে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর চাইতে স্থায়ী দোকান থেকে ভাড়া বেশী পাওয়ায় ইজারাদার এমনটা করছেন বলে জানান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

 

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের  সরকারী ভাবে নির্মিত ১১টি শেড রয়েছে একেকটি শেডের দৈর্ঘ্য ৫০ ফুটের কাছাকাছি। প্রতিটি শেডে ১০ থেকে ১২ টি দোকানও রয়েছে। এরমধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি শেড। বাকি গুলোতে ফর্নিচার, গ্রোসারী, কবিরাজি, চা দোকাম, মুরগীর সেইল সেন্টার, কাপড়ের দোকান খুলে স্থায়ীভাবে গেড়ে বসেছে অনেকে।

 

সড়কের পাশে বসে সবজি বিক্রেতা নুরুল হকের সাথে কথা হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন যতটুকু জানি সরকারীভাবে শেডগুলো নির্মাণ করা হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য।  কয়েক বছর আগে থেকে এগুলো স্থায়ী দোকানদারদের দখলে চলে আছে। 

 

স্থায়ী দোকান মালিকের সাথে কথা হলে জানান, ইজারাদারের কাছ থেকে দৈনিক ভাড়ার ভিত্তিতে এসব দোকান নিয়েছেন তারা।

 

এ বিষয়ে বাজারের ইজারাদার মাহাবুল আলমের মন্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কোন অবস্থাতেই সরকারী শেডে স্থায়ী দোকান বসানো যাবে না। অচিরেই অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হবে।