যে সকল ব্যক্তি নিরক্ষর, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ছবির নিচে টিপসই (আঙুলের ছাপ) প্রদর্শিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিস্টেম ম্যানেজারকে নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির এনআইডি মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে এনআইডি পরিচালককেও (অপারেশনস) পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো উপজেলায় বদলি জনিত কারণে পদ ফাঁকা হলে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিকল্প কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। অর্থাৎ পদ ফাঁকা রাখা যাবে না।
এছাড়া নতুন ভোটার নিবন্ধনে ডাকঘর এন্ট্রি সংক্রান্ত সমস্যা নিরসন করা, নতুন ভোটার শনাক্তকারীর এনআইডি ডাটাবেজে রাখা ও তদন্ত দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
অন্যদিকে নিরক্ষর ভোটারের এনআইডিতে ছবির নিচে আঙুলের ছাপ, ভোটার
স্থানান্তরের জন্য আবেদনকারীর সশরীরে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, বিদেশে অবস্থিত মিশন হতে সংগৃহীত জন্ম সনদে মুদ্রণজনিত ত্রুটি নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরক্ষর ব্যক্তিদের এনআইডিতে স্বাক্ষর নিয়ে সমস্যা দীর্ঘ দিনের। অনেকে আবেদনে স্বাক্ষর না পারলেও কোনো একটা স্বাক্ষর করে দেন৷ কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর মেলে না৷ আবার যারা স্বাক্ষর করেন না, তাদের জন্যও কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই এখন থেকে এনআইডিতে ছবির নিচে নিরক্ষরদের আঙুলের ছাপ প্রদর্শিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।