আজ শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩রা কার্তিক ১৪৩১

চন্দনাইশে ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড পেল বীর মুক্তিযোদ্ধারা

মোঃ আয়ুব মিয়াজী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর ২০২২ ০১:৫৫:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

 

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ১১২ জন জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) গাছবাড়িয়াস্থ রেডিসন কনভেনশন সেন্টার, বদুরপাড়ায় সকাল সাড়ে ১০টায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মৃত ১১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে পরবর্তীতে বিতরণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ইউএনও নাছরীন আক্তারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল জব্বার চৌধুরী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর আলী হিরু, মুক্তিযোদ্ধা আসহাব উদ্দিন, ফেরদৌস আলম খান, ইসলাম খান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনসহ বিভিন্ন সম্মাননা ও সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। এ সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন ও সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। উল্লেখ্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা অথবা তাদের পরিবারের মাঝে এসব সনদ ও আইডি কার্ড বিতরণ করতেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১ লাখ ৮০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হবে। সারাদেশে প্রায় ১ লাখ জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়া হবে। একইসঙ্গে জীবিত নেই এমন প্রায় ৮০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের কাছে ডিজিটাল সনদ হস্তান্তর করা হবে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড পাওয়া মানে, তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। এটাই তার বড় পরিচয়। ডিজিটাল স্মার্ট আইডি কার্ড দেখালেই তারা সরকারি যানবাহনে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করাসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবাও পাবেন। চিকিৎসাসেবার আওতায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে- সবধরনের ডাক্তারি সেবা, শৈল্য চিকিৎসা, ওষুধ ক্রয় ও সরবরাহ, বেডভাড়া, খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ এবং সেবিকার সেবা। রাজধানীর নামীদামি হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসাসেবার অন্তর্ভুক্ত সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া রাজধানীতে ১৫টি বিশেষায়িত হাসপাতালে তারা বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্ধারণ করে দেবে। নিরাপত্তার স্বার্থে জানা গেছে ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সে জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ডিজিটাল সনদে ১৪ ধরনের এবং পরিচয়পত্রে ১২ ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুগলে গিয়ে ‘ফ্রিডম ফাইটার ভেরিফায়ার’ অ্যাপের মাধ্যমে এই সনদ ও পরিচয়পত্রে ইউনিক নম্বর আপ করলে প্রথমেই ৩০ সেকেন্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জাতীয় সংগীত শোনা যাবে। এতে আরও রয়েছে থ্রিডি লোগো, দুটি করে কিউআর কোড, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ফুল শাপলার অ্যাম্বুশ করা শ্যাডো, বীর মুক্তিযোদ্ধার পৃথক তথ্যকণিকা, ইস্যুকারী মন্ত্রী ও সচিবের স্বাক্ষর, ওয়াটার মার্ক, জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধুসহ নানা ধরনের নির্ধারিত আল্টামার্ক। যার অনেক কিছু খালি চোখে দেখা যাবে না।