আসন্ন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার বন্ধ করতে হবে আগামী মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায়। এরপর কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থকরা আর কোনো প্রচার চালাতে পারবেন না।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রার্থীদের মাঝে প্রচার করার জন্য ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনানুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার বন্ধ করতে হয়। আর নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত কোনো ধরনের মিছিল, শোভাযাত্রা, আনন্দ মিছিলও করা যায় না। এ নির্দেশনা না মানলে প্রার্থী নির্বাচনি আচরণ-বিধি লঙ্ঘণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
আগামী ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৮টায়। তার ৪৮ ঘণ্টা আগে আর্থাৎ ২৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ৮টায় প্রচার শেষ হবে।
উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রমজান আলী।
নির্বাচনে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।
৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরবর্তীতে আসনশূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন।
এ আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছে ২০১৯ সালে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।