আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির নির্বাচন

মো. আলী আকবর : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৫:৫২:০০ অপরাহ্ন | আইন-আদালত

★বিএনপি- জামাত আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবি 

★সভাপতি নিতাই, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর

 

গত ৩ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির নির্বাচন-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই বারের কর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত কর আইনজীবী  সমন্য় পরিষদ,বিএনপি-জামাত সমর্থিত চট্টগ্রাম কর আইনজীবী ঐক্য পরিষদ ও কর আইনজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত পরিষদ সহ মোট তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এতে বিএনপি-জামাত ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছে। এই প্যানেলকে বলা হয় অরাজনৈতিক প্যানেল। সভাপতি পদে নিতাই চন্দ্র দাশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জয়ী হয়েছেন তারা উভয়ই সম্মিলিত পরিষদ প্যানেল থেকেই নির্বাচন করেছেন। কর আদালত সূত্রে জানা যায় তিনটি প্যানেল থেকে ১৭টি পদের জন্য ৪৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করছেন। সতেরোটি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ ৪ টি সম্পাদকীয় ও ১টি সদস্য নিয়ে মোট ৫ টি পদে বিজয়ী হন। আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্যানেল কম গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি সম্পাদকীয় ও ৫ টি সদস্য সহ মোট ৮ টি পদে বিজয়ী হয়। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছে বিএনপি-জামাত সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের, এই প্যানেল থেকে মাত্র ১ সম্পাদকীয় ও ৩ টি সদস্য সহ মোট ৪টি পদে বিজয়ী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ২৭২৩ বেশি। নির্বাচনের জন্য এডভোকেট মোস্তাফা কামাল মনসুর কে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনার গঠন করা হয়েছিল।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায় তারা নির্বাচন সঠিক ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করেছেন।সকাল ৮.৩০ থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। গতবারের নির্বাচনে মোট ১৭ পদের মধ্যে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীরা সভাপতি সহ ৮ টি পদে। বিএনপি- জামাত সমর্থিত প্রার্থীরা সাধারণ সম্পাদক সহ ৮ টি পদে বাকি ১টি যুগ্ম সম্পাদক পদে সম্মিলিত পরিষদ থেকে জয়ী হন।এই বারের  নির্বাচনে যারা বিজয়ী তারা হলেন।সভাপতি পদে নিতাই চন্দ্র দাশ ৭৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থী মো.নুর হোসাইন পায় ৬৬৯ ভোট। সহ সভাপতি পদে মো.রফিকুল ইসলাম ১১৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী মো.শাহ জাহান পেয়েছেন ৮১১ ভোট। সাধারণ পদে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ১০৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী  আলহাজ্ব ফিরোজ ইফতেখার পেয়েছেন ৬০০ ভোট।, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে মো.আলম গীর ৮১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী  রতন চন্দ্র শর্মা পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট। ,কোষাধ্যক্ষ পদে শাহেদ চৌধুরী ৮০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী  এড.আনিস ইফতেখার পেয়েছেন ৬৬১ ভোট। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক  সম্পাদক পদে- ফিরুজা খানম ৯০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী চৌধুরী খালেদ বিন সরওয়ার জনি পেয়েছেন ৭৪৭ ভোট। লাইব্রেরী তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে- মোঃ আজমুল হক মামুন ১০২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী মো.তাজ উদ্দিন পেয়েছেন ৯৮৪ ভোট। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে- এড.মোঃ আকবর হোসাইন মিলাদ ১১২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী মো.ফারুক পেয়েছেন ৮৮৪ ভোট। সদস্য পদে- যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন যথাক্রমে-মো.কুতুব উদ্দিন( ১২০৫ ভোট), মো.তৌহিদুল ইসলাম( ১০২৩ ভোট),মোঃআজিজুর রহমান ( ৯৮০ভোট), মোঃ দিদারুল আলম আকাশ(৯৮৭ ভোট) , মোঃ মামুনুর রশিদ( ৮৩৫ ভোট), মুজাফ্ফর হোসেন রাহাত(৮৮৯ ভোট), জাবেদ আহমদ(৯৭৭ ভোট), পারুল আক্তার( ৯৭৪ ভোট), মো.ইয়াছিন( ৮৬৩ ভোট)।