আজ শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

আম গাছ থেকে গুতিয়ে ফেলে শিশুর চোখ নষ্ট করার অভিযোগ

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৮ জুন ২০২২ ০২:৩৯:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু তৌহিদুল ইসলাম।

রাঙ্গুনিয়ায় অন্যের গাছ থেকে আম পাড়তে গিয়ে তৌহিদুল ইসলাম (১১) নামে এক শিশুকে বাঁশ দিয়ে গুতিয়ে ফেলে দিয়েছেন বুলু আক্তার (৪৫) নামে এক নারী। এতে ওই শিশুর বাম চোখে গুরুতর আঘাত হয়ে চোখ নষ্টের উপক্রম হয়েছে। উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের বনগ্রাম লালপাহাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বুলু আক্তারসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে দ্বিতীয় তলার ১১নং সীটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিশু তৌহিদ। তার বাম চোখে ব্যান্ডেজ লাগানো রয়েছে। ব্যাথায় কাথরাচ্ছে সে। পাশে বসা মা তানজু আক্তার জানান, তার সন্তানের বাম চোখের অবস্থা গুরুতর। চোখ বাঁচাতে হলে তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। 

আহত শিশু তৌহিদের বাড়ি উত্তর রাঙ্গুনিয়া মোগলের হাট হলেও বাবা-মা’র সাথে তারা থাকেন চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম লালপাহাড় এলাকায়। তার পিতার নাম আনোয়ার হোসেন ওমান প্রবাসী। অভিযুক্ত বুলু আক্তার ওরপে বুলবুলি’র বাড়িও একই এলাকায়। তিনি ওই এলাকার খোরশেদ আলমের স্ত্রী। 

মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, গত ২১ মে শিশু তৌহিদ তার বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে বুলু আক্তারের আম বাগানে প্রবেশ করে। সেখানে তাদের একটি আম গাছে উঠে আম পাড়ছিল তৌহিদ। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাগান মালিক বুলু আক্তার বাগানে এসে গাছের নিচ থেকে তৌহিদকে বাঁশ দিয়ে পিঠাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বুলু আক্তার ও তার দুই সহযোগীর বাঁশের গুতা খেয়ে তৌহিদ আম গাছ থেকে নিচে পড়ে যায়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাম চোখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রাম চক্ষু হাতপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত বুলু আক্তারসহ তার দুই সহযোগী। 

এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহবুব মিলকী বলেন, “এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।” 

শিশু তৌহিদের মামা মো. ইউসুফ বলেন, “সামান্য আমের জন্য আমার ভাগিনাকে অমানবিকভাবে বাঁশ দিয়ে গুতিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।”