আল্লাহ চাইলে ধুব্বা ঘাঁস জড়িয়ে রক্ষা করতে পারেন। কোন অভাগী মা নিজের কলংক ডাকতে হয়তো শিশুটিকে ফেলে দিয়েছিল নদীতে। কাঁদা পানিতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর নদীর পাড়ে কাঁদছিল এক নবজাতক। কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে শিশুটি। নদীতে গোসল করতে গিয়ে জেলে পল্লীর মুন্নী জলদাশ নামের এক নারী শিশুর কান্নার শব্দ শুনে কাঁদায় মোড়ানো শিশুটিকে কাঁদা পানি থেকে উদ্ধার করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের শেখ পাড়া এলাকার কর্ণফুলী নদীর পাড় বারম্বা খালের মোহনা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জলদাশ পাড়ার এক নারী কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামলে হঠাৎ বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। এ সময় তিনি সাঁতরে কিছু দুর গিয়ে দেখেন নদীর পাড়ে কাঁদার মধ্যে শিশুটি পড়ে আছে। শিশুরটির শরীরে কিছু ছিল না। কাঁদা পানিতে পড়ে থাকা অবস্থায় নব জাতক শিশুটি কাঁদছিল। তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে নিজের বাচ্চা পরিচয়ে চিকিৎসা করান। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে শিশুটিকে দত্তক নিতে স্থানীয় লোকজন জোড় হয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করলে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। খবর পেয়ে বোয়ালখালী থানা পুলিশের একটি টিম বিকেল ৫টায় শিশুটিকে উদ্ধার করে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এসম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসপাতালে ছুঁটে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উদ্ধার হওয়া ছেলে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে দেন। এ সময় ইউএনও পরম মমতায় শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া এ শিশুর নাম রাখেন তিনি ‘বিজয়’।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, উদ্ধার হওয়া শিশুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধী ন রয়েছে। চিকিৎসা নব জাতককে শেষে চট্টগ্রাম নগরীর সমাজ সেবা অধিদপ্তরের রৌফ¦াবাদ ‘ছোট মনি নিবাসে’ স্থানান্তর করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খিসা বলেন, উদ্ধার হওয়া নব জাতকটিকে দত্তক নিতে এলাকার অনেক অভিভাবক জড়ো হয়েছেন। পরবর্তীতে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজ সেবা অধিদপ্তর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।