রাঙামাটি থেকে রাজস্থলী এবং বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াত পথে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা ফেরি দিয়ে কর্ণফুলী পার হতে হয়। চলমান অতিবর্ষণে ডুবে গেছে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটের পাটাতন। রবিবার ( ১৯ জুন) বিকাল ৫টা থেকে ফেরির উভর অংশের পাটাতন ডুবে গিয়ে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফেরি পারাপার বন্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানালের সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের রাইখালী অংশে ফেরির পাটাতন ডুবে গেছে। এসময় বেশ কিছু সিএনজি-অটোরিকশাসহ নানা যানবাহনে পাটাতনে আটকে গেছে। তবে আটকে পড়া প্রতিটি সিএনজি ৫০ হতে ১০০ টাকার বিনিময়ে পার করে দিচ্ছেন ফেরিঘাট এলাকার কিছু শ্রমিক।
এইসময় সিএনজি চালক খোকন মল্লিক, মো. ফরিদ, ইস্কান্দর হোসেন জানান, অতিরিক্ত পানি উঠায় ফেরির পাটাতন ডুবে গেছে। বাড়তি টাকার বিনিময়ে লোকজনের সহায়তায় সিএনজি কোনরকমে ফেরিতে তুললাম।
মোটরসাইকেল আরোহী জয়ন্ত ধর জানান, পাটাতনে অতিরিক্ত পানির ফলেফেরিতে উঠতে পারছি না।
একই দৃশ্য দেখা যায় ফেরির রাঙ্গুনিয়ার অংশে ফেরিঘাট এলাকায়। এই অংশেও ফেরির পাটাতন ডুবে হালকা যানবাহন চলাচলে বেশ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বাঙ্গালহালিয়া থেকে আসা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ঝুলন দত্ত জানান, "আজকের মতো অবস্থা অতীত নিকটে দেখি নাই। আমরা যে সিএনজিতে উঠেছি সেটা ফেরির দুই পাড়া লোকজনের সহায়তায় বাড়তি টাকা দিয়ে কোলে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এরজন্য ঘন্টার উপর সময় লেগে গেছে।"
ফেরির তত্তাবধায়ক মো. শাহজাহান ও চালক আমিন জানান, অতি বর্ষণের ফলে কর্ণফুলি নদীতে পানি বেড়ে যাওয়া রবিবার বিকেল ৫টা হতে ফেরিঘাটের উভয় পাড়ে পাটাতনে পানি উঠে যায়। ফলে ভারী যানবাহন তীরে উঠতে পারলেও হালকা যানবাহন যেমন সিএনজি ও মোটর সাইকেল তীরে উঠতে বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে।
তাঁরা জানান, যদি এইভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে পাটাতনে অতিরিক্ত পানি উঠলে ফেরি চলাচল যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।