ইউক্রেনের অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে হামলার শিকার ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ আজ দেশে আসছে না। রোববার (১৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে রোববার রাত ৮টায় হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তার মরদেহ তুরস্কে ট্রানজিট হয়ে আসার কথা ছিল। তবে তুরস্কে ভারী তুষারপাতের কারণে ফ্লাইটটি বাতিল হয়ে গেছে। বর্তমানে তার মরদেহ প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটে আনার চেষ্টা চলছে।
এর আগে হাদিসুর রহমানের মরদেহ নিয়ে একটি ফ্রিজারভ্যান শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় যাত্রা করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মলদোভা সীমান্ত থেকে রোমানিয়া বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা হাদিসুরের মরদেহ গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। অলভিয়া থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল।
এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকাপড়ে জাহাজটি। পরে গত ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। তবে অন্য ২৮ জনকে ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিএসসি।
এরপর হাদিসুরের মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সহযোগিতায় উদ্ধার পরবর্তী ৫ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুরে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউস) থেকে বেরিয়ে মলদোভার পথে যাত্রা করেন ২৮ নাবিক।
গত ৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে তারা ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মলদোভা হয়ে তারা রোববার দুপুরের পর রোমানিয়া পৌঁছান। ১০ মার্চ ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় ফেরেন। এর মধ্যে ১২ নাবিক বুধবার রাতেই নভো এয়ারের একটি লোকাল ফ্লাইটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসেন।