আজ শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

সারওয়ার্দীকে প্রয়োজনে রিমান্ডে নেওয়া হবে: ডিবি

ঢাকা অফিস : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৫৪:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে তাণ্ডবের দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টাকে দলীয় কার্যালয়ে হাজিরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

 

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

 

তিনি বলেন, শনিবার (২৮ অক্টোবর) পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে তারা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন।

 

দিনব্যাপী সহিংসতার পর সন্ধ্যায় হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে মিয়ান আরেফী নামে একজনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া হয়। পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন মিয়ান আরেফী।

 

সেদিন মিয়ান আরেফী বক্তব্যে দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে।

 

মিয়ান আরেফী আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

 

ডিবিপ্রধান বলেন, এ ঘটনায় মিয়ান আরেফীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরেফী জানান, তিনি এসব বলতে চাননি। তাকে বাসা থেকে নিয়ে আসার সময় সারওয়ার্দী এসব কথা বলার জন্য শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাকে সহায়তা করেছেন ইশরাক ও অ্যাডভোকেট বেলাল নামে একজন।

 

হারুন অর রশীদ বলেন, আরেফীর এমন বক্তব্যের পর রাজধানীজুড়ে বাসে অগ্নিসংযোগসহ আরও বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আজকে দুইদিন ধরে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কারণে পল্টন থানায় একটি মামলা (নং-৫৬) দায়ের করা হয়েছে। আমরা এ মামলার দুই নম্বর আসামি সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করেছি।

 

তিনি বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে আনব। রিমান্ডে এনে তারা কী ষড়যন্ত্র করেছিলেন জানার চেষ্টা করব। তারা মিয়ান আরেফীকে বিএনপি কার্যালয়ে এনে দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে, পুলিশ-আনসার-র‌্যাবের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, সবকিছু আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানাব।

 

আমেরিকার পাসপোর্টধারী মিয়ান আরেফীর প্রকৃত নাম মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। শনিবার বিএনপির কার্যালয়ে মিথ্যা পরিচয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পর রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে তিনি দেশছাড়ার চেষ্টা করেন। তবে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।