আজ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১

লোহাগাড়ায় জুয়া খেলা, মাদক সেবন ও বিক্রির প্রতিবাদ: আহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, লোহাগাড়া: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০২২ ০৭:১৮:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

লোহাগাড়ায় জুয়া খেলা, মাদক সেবন ও বিক্রির প্রতিবাদ করায় মো. জসিম উদ্দিন (৪২) নামর এক ব্যক্তিকে মারধর করে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার অভিয়োগ পাওয়া গেছে। সে লোহাগাড়া সদর দরবেশ হাট শাহপীর পাড়া এলাকার আমির হোসেন এর ছেলে। এ ঘটনায় ওই এলাকার মৃত আহমদ হোসেন এর ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৭) ও তার স্ত্রী সাজু আক্তার (২৩)কে বিবাদী করে লোহাগাড়া থানানয় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ১৬ অক্টেবর রাত সাড়ে ৯টার সময় ভুক্তভোগীর বাড়ির পাশে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগে প্রকাশ, অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম বাদীর বাড়ির পাশে মাদক সেবন-বিক্রি ও জুয়া খেলছিল। মাদক সেবন-বিক্রি ও জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় ঘটনারদিন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা লোক জসিম উদ্দিনকে তার বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে সবাই মারধর শুরু করে। পরবর্তিতে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি, লাথি মেলে উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। স্থানীয়রা জানান, শহীদুল ইসলাম বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। তার অপরাধের বিস্তার বেশি। তার বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে। জসিম এসব অপরাধের প্রতিবাদ করায় হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আশ-পাশের লোকজন না দেখলে তাকে মেরে ফেলা হতো। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আশা করছেন তারা। আহত জসিম উদ্দিন বলেন, আমি দিনে এনে দিনে খায়। বাড়ির অভিযুক্ত শহীদ আমার প্রতিবেশী। প্রতিদিন আমার বাড়ির পাশে এসে দলবদ্ধ ভাবে সেবন, ইয়াবা বিক্রি ও জুয়া খেলছিল। এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ঘটনার দিন বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিত্যক্ত একটি বাড়ির দ্বি-তলায় আমাকে তুৃলে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে নিচে ফেলে দেয়। এতে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবী করছি। সে চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত। লোহাগাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, এঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে, অভিযুক্ত শহীদুল ইসলামকে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি