বাতাস থেকে মিনিটে ৫০০ লিটার অক্সিজেন পাচ্ছে হাসপাতালের ছোট্ট একটি প্ল্যান্ট। একজন করোনা রোগীর যদি মিনিটে ১০ লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হয় তাহলে ৫০ জনকে দেওয়া সম্ভব হবে।
সাধারণ রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী ৩-৭ লিটার করে দেওয়া যাবে প্রতি মিনিটে। নগরের আন্দরকিল্লার জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে প্ল্যান্টটি।
সূত্র জানায়, করোনাকালীন ভয়াবহ অক্সিজেন সংকট মোকাবেলায় গৃহীত সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বসানো হচ্ছে এ প্ল্যান্ট। এ প্ল্যান্টে উৎপাদিত অক্সিজেন হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেনের সাহায্যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রোগীর কেবিনে বা বেডে নেওয়া হবে। ট্যাংকে সরবরাহ করা তরল অক্সিজেনের তুলনায় নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য ছোট ছোট অক্সিজেন প্ল্যান্ট অনেক বেশি কার্যকর। তাই তরল অক্সিজেন আমদানি, পরিবহন খরচ যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি সংকটে আস্থাও বাড়বে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরির একটি ছোট্ট প্ল্যান্ট আমাদের হাসপাতালে বসানো হয়েছে। মিনিটে সর্বোচ্চ ৫০০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে এ প্ল্যান্টটি। সোমবার (১৬ মে) পরীক্ষামূলক চালিয়ে এ প্ল্যান্ট থেকে মিনিটে ২০০ লিটার অক্সিজেন পেয়েছি আমরা। আরও কয়েকদিন পরীক্ষামূলক চালানো হবে।
তিনি জানান, এ অক্সিজেন জেনারেটর চালু থাকলে তরল অক্সিজেনের চাহিদা কমবে। তবে পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে আমাদের স্পেক্ট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের সেন্ট্রাল তরল অক্সিজেনের যে ব্যবস্থা রয়েছে তা-ও রাখতে হবে। যাতে দুইটি সোর্সের মধ্যে একটি দিয়ে জরুরি সেবা নিশ্চিত করা যায়।