চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মায়ের সাথে রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে গণ ধষর্ণের শিকার হয়েছে ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরী। শুক্রবার রাত ১টার দিকে বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদন্ডী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতা কিশোরী উপজেলার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা একজন প্রবাসী।
ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে পুলিশ সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করেছেন এবং ধষর্ণে ব্যবহারিত একটি সিএনজি,মোটর সাইকেল ও ছোরা জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, পূর্ব গোমদন্ডী রোয়াই পাড়ার বাসিন্দ মো. বাদশা মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন সাগর(১৯), পূর্ব গোমদন্ডী বহদ্দার পাড়ার মো. রুস্তম আলী বাছেকের ছেলে সানি উল্লাহ আলী প্রকাশ রিমন(২০) ও উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের চাঁন্দ মিয়া সওদাগর বাড়ীর মো. কপিল উদ্দিনের ছেলে সিএনজি চালক মো. কামাল উদ্দি(২৬)এ ঘটানায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে দুপুরে বোয়ালখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েকৃত এজাহার ও ধর্ষিতা কিশোরী সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর নামের এক ছেলেকে সে পছন্দ করে। এ বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর মা তাকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বকাঝকা করলে রাত ১০টার দিকে কিশোরী ঘর থেকে বের হয়ে আলমগীরের সাথে বোয়ালখালীর ফুলতল এলকায় দেখা করতে যায়। এ সময় ধষর্ণকারী সাগর,রিমন ও সায়মন তাদের ভয় দেখিয়ে কামালের সিএনজিতে তুলে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ওই এলাকায় কিশোরীর প্রেমিক আলমগীরের গলায় ছুরি ধওে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় কিশোরীর যাতে চিকিৎকার করতে না পারে তাই তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণকারিরা। পরে রাত তিনটার দিকে সিএনজি যোগে কিশোরীকে তার ঘরের সামনে এনে নামিয়ে দিয়ে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। কিশোরী তার মাকে ঘটনা জানালে কিশোরীরর মা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সাথে সাথে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করেন। এ সময় ঘটনায় ব্যবহারিত সিএনজি,মোটর সাইকেল ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান বলেন, সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করে ঘটনায় ব্যবহারিত সিএনজি,মোটর সাইকেল ও ছোরা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ আটককৃতরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পলাতকদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে সন্ধ্যা ৬টায় বোয়ালখালী থানায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেও সংবাদ সম্মেল করার কথা রয়েছে।