জীবণের প্রথম ভোট দিয়ে উচ্চসিত এমতিয়াজ, নিজে প্রার্থী হওয়ায় নিজের ভোটটা নিজেকে দিতে পেরে আনন্দের মাত্রাটা বেড়ে গেল। বৃহস্পতিবার আনোয়ারা উপজেলার ১১০ টি প্রথমিক বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রণির ১৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী ভোটারের মাঝে আনন্দ উৎসবে ভোট দেয়। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন বিকাল ২ টায় ফলাফল ঘোষণা করে।
সরেজমিনে বরুমচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখাযায়, নির্বাচন কমিশন অফিসে বসে সব তদারকি করছে, শিশু শিক্ষার্থী ভোটাররা লাইন ধরে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে ভোট দিচ্ছে। ওদিকে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টরা যার যার দ্বায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত। আর এসব দৃশ্য উপভোগ করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক,অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়াতুন্নেছা জেসমিন বলেন, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ভোটার সংখ্যা ১৮০। এদের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণিতে কেবিনেট নির্বাচনে প্রার্থী ৩, চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৮ জন। ফলাফলে দেখাযায় তৃতীয় শ্রেণিতে মোরছালিন চত্তার ৭৩ ভোট,জান্নাতুল মিনহার ৬৯ ভোট, সাইমাতুল জান্নাত নিহা ৬১ ভোট,চতুর্থ শ্রেণিতে আফিফা আলম ৯৭ ভোট,আদিল আহমদ চৌধুরী ৬৯ ভোট, পঞ্চম শ্রেণিতে এমতিয়াজ আহমেদ ৯৩ ভোট ও আব্দুল্লাহ মাহমুদ ৫৩ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও অভিভাবক মিজানুর রহমান বলেন,এ ধরণের নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতন্ত্র চর্চা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভুমিকা রাখবে ।
আনোয়ারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, আনোয়ারায় ১১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী ভোটার নিয়ে সুসৃঙ্খলভাবে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে । নির্বাচন শেষে ফলাফলও ঘোষণা হয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীরা উৎসবমুখর পরিবেশে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করেছে । নির্বাচন সুসম্পন্ন করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুজন নির্বাচন কমিশনার ও প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিং এজেন্ট ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝ থেকে মনোনিত করা হয় মূলত তারাই নির্বাচনটি পরিচালনা করেন ।