আজ সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বহুমুখী সমস্যার অন্তরালে নাইক্ষ‍্যংছড়ির মিরঝিরি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়

মোঃ ইফসান খান ইমন: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১১ অগাস্ট ২০২২ ০৭:৫৪:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আলীক্ষ্যং গ্রামের ৩৮ নং মিরঝিরি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নানা সমস্যার অন্তরালে নিহিত রয়েছে। দেখলে মনে হবে এই বিশাল আকৃতির বিদ্যালয়টিতে কোন সমস্যা নেই। বিদ্যালয়টির বাহিরের সৌন্দর্য দেখে সকলেই মুগ্ধ হবার কথা।

 তবে প্রবাদ আছে - উপরে ফিটফাট,   ভিতরে সদরঘাট ! 

সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটি , শিক্ষক ও গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত জনপদে অবস্থিত বিদ্যালয়ের অবস্থান। সরাসরি গাড়ীযোগে বিদ্যালয়ে যাওয়া কঠিন। বর্ষা শুরু হলেই পাহাড়ী ছরার পানিতে খাল পেরিয়ে স্কুল যাওয়া হয়ে যায় ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক  শিক্ষিকাদের জন্য কঠিন ব্যাপার। পাহাড়ী ছরার স্রোতে ছাত্র ছাত্রীরা ভেসে গিয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা লক্ষ করা যায়। অভিভাবকরা রয়েছে তাদের সন্তানের জন্য দুঃচিন্তায়। এমনিতেই ব্রীজ কালবার্ট না থাকায় প্রতিদিন ছরা পেরিয়ে স্কুলে যেতে বই, খাতা, কলম, জামা কাপড় ভিজে একাকার।

সরজমিনে আরো যায় উপজেলার ৩৮ নং মিরঝিরি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মান সমাপ্ত হলে ও পাঠদান চলছে পুরাতন টিনসেট ভবনে। নতুন ভবনে নেই কোন ধরনের ফার্নিচার। তাছাড়া বিদ্যালয়টিতে নেই কোন ধরনের সুপেয় পানির ব্যবস্থা। নেই কোন ধরনের ওয়াশরুম সহ টয়লেটের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে এক হযবরল অবস্থা।  

অভিভাবকদের সাথে কথা বলে  জানা যায় এই দূর্গম জনপদে একটি মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ অবহেলিত। 

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান  জানান, তিনি ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। শতাধিক ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষক রয়েছে ৫ জন। পড়া লেখার মান ও ভালো। বিগত বছর গুলুতে ৫ ম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষা সফলতার সহিত শতভাগ পাশ করেছে। তবে তিনি বিদ্যালয়টিতে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরে বলেন আগামী সমন্নয় সভায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সমস্যার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করবেন। 

সমস্যার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন ভবন হয়েছে, ফার্নিচার, ওয়াশ ব্লক ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য অচিরেই গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধান হবে। 

স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।