আজ সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ে মা বাঁশ কেটে বিনাশ: সরকারের নির্দেশ উপেক্ষিত

মোঃ ইফসান খান ইমন: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১২ অগাস্ট ২০২২ ০৭:৩৬:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

উৎপাদন বাড়াতে জুন-আগষ্ট ৩ মাস বাঁশ কাটা ও পরিবহনে নিষেধজ্ঞা থাকলে ও নাইক্ষ্যংছড়িতে বাঁশ দস্যুরা মানছে না এ সব আইনী নির্দেশনা । উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের বাঁশবন গুলোতে শতশত লেবার লাগিয়ে এসব বাঁশ দস্যু লক্ষ লক্ষ টাকার বিপরীতে বনবিভাগ ও অপরাপর আইনের মানুষ ম্যানেজ করে। আর বাঁশের ভূয়া কাগজ সৃজন করে সবার চোখে ধুলা দিয়ে পাচার করছে এ সব মা বাঁশ। ফলে সবুজে ঘেরা

বাঁশ বনে কালো হাতের থাবায় নিপাত

হচ্ছে চারা বাঁশ সহ মা বাঁশও।

ফলে দেশের চরম ক্ষতির পাশাপাশি মানা হচ্ছে না সরকারের নির্দেশনাও।

সূত্র আরো জানান,

 

নাইক্ষ্যংছড়ি  উপজেলার  রেঞ্জ অফিস রয়েছে দু'টি।  একটি নাইক্ষ্যংছড়ি অপরটি বাইশারীতে অবস্থিত সাঙ্গু রেঞ্জ।

এ দু'টি রেঞ্জের আওতাধীন ১৭ মৌজাতে বাঁশ বন রয়েছে দেশের অন্যান্য এলাকার চাইতে সবচাইতে বেশী।  এ কারণে  তথ্য রয়েছে বান্দরবান ও ককবাজার জেলার সবচেয়ে বাঁশ উৎপাদন হয় এ নাইক্ষ্যংছড়িতে।  আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাইশারীর নাজমা খাতুন রাবার বাগানের ম্যানেজার  আল আমিন প্রকাশ বিমান মৌলভীর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের বনজসম্পদ পাচারের গড় ফাদার  বাঁশ কাঠুরিয়াদের অগ্রিম টাকা দিয়ে বনে ঢুকিয়ে এ সব করছে। আর পাচার করছে 

ঈদগড় খাল,গর্জনিয়া খাল,বাঁকখালী নদী দিয়ে।  এ দু'পয়েন্টের হাট বসানো হয় ঈদগড় খালের বৌ ঘাটা,ঈদগড় বাজার ও বাঁকখালীর ছাগল খাইয় বিজিবি ক্যাম্পের পাশে বাঁকখালী নদীতে।

আর অপর ৩ টি গ্রুপ বাইশারী ইউনিয়ন ঘেষে নিচে আসা খুটাখালী ছড়া, ফারিখাল ও রেজুর ছড়া দিয়েও এসব বাঁশ পাচার হচ্ছে। সড়ক পথে হচ্ছে অনেক সাবধানে।

প্রত্যক্ষদর্শী মো'ইউনুছ,হাবিবুর রহমান,আবদুর রহিম, আবু ইউছুপ ও আবদুর রহমান বলেন, বন্ধর সময় বাকঁখালীতে বাশ বসে ১৫ দিন অন্তর। অন্যান্য সময় ঈদগড়ে বসে শুক্রবার ও সোমবারে।  

তারা আরো বলেন, বাঁকখালী নদী, রেজু আমতলী খাল, ঈদগড় খাল, খুটাখালী ছড়া ও গর্জনিয়া খাল দিয়ে বাঁশ কেটে অন্য উপজেলায় পাচার করছে করতে অন্যান্য রেঞ্জ কর্মকর্তারা ভাগ বসিয়ে বাঁশ পাচারে সহায়তা করে।

 তবে এসব কর্মকর্তাদের দাবি, তারা বাঁশ কাটার বন্ধের সময় বৈধ কাগজপত্র নিয়ে এ সব বাঁশ কাটা হয় এব্ং পরিবহণ হয় ।

এ জন্যে কেউ আটকাতে পারে না।

অভিযুক্ত বাঁশ ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন,তারা বন্ধের আগের কাজ নিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় বনবিভাগ থেকে।

সুতারাং তারা বৈধ।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ,এসবে ভুয়া কাগজপত্র দেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। আর বাঁশ ব্যবসায়ীরা জানান,তারা  একাধিকবার চুক্তিমত লাখ টাকার দাখিলা কেটে রেখেছেন।

এ বিষয়ে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকতা মন্জুর আলম

জানান, তিনি স্টেশনে নেই। রেঞ্জে লোকবল সংকটও আছে। তাই সব সময় এসব বাঁশ জব্দ করতে পরেন না তিনি। বান্দরবানের লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন  বলেন, নিষিদ্ধ মৌসুমে বাঁশ কাটা ও পরিবহণে বারণ আছে। তবুও কেন বাঁশ পাচার হচ্ছে তা দেখে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।