আজ রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ই ফাল্গুন ১৪৩১

নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি: | প্রকাশের সময় : শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৭:৫৫:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে। ২২ ফেব্রুয়ারী (শনবিার) উপজলোর নানুপুর বাজারস্থ মাতৃসদন প্রাইভেট হাসপাতালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার জাহানপুর গ্রামের প্রসূতি নাজিয়া আকতারকে গত শুক্রবার রাতে তার স্বজনেরা নবজাতকের ডেলিভারির জন্য সেখানে ভর্তি করেন। পরে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক নবজাতকের অবস্থা শংকটাপন্ন বলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। প্রসূতিকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রোগীর অবস্থা আরোও খারাপ হওয়ায় তাকে পাশবর্তী হাটহাজারী উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন প্রসূতি একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করেন। ঘটনাকে কন্দ্রে করে শনিবার সকালে রোগীর স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা নানুপুরের ওই হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুর চালান। এতে হাসপাতালের দরজা, জানালা, চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মূল্যবান  যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করে নষ্ট করনে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং অভিযুক্ত দুই ব্যাক্তিকে আটক করনে।

 

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদে বলেন, "পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করেন। অভিযুক্ত দুই ব্যাক্তিকে আটক করা হয়। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।"

 

নানুপুর মাতৃসদন হসপিটাল এন্ড দি ডক্টরস ল্যাবের পরিচালক মুহাম্মদ হাসান মুন্সি বলেন, ‘রোগী মারা গেল হাটহাজারীতে আর হামলা চালানো হলো ফটিকছড়ির নানুপুর। আমরা অন্যায় না করেও যে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম তার বিচার জনতার হাতে ছেড়ে দিলাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘ বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগের। আমি মনে করছি এটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।’

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মলে হক চৌধুরী বলেন, ‘ভুল চিকিৎসার অভিযোগে রোগীর স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা করে ভাংচুর করেছেন। ইতিমধ্যে ঘটনায় তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। তারা যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিলে পরর্বতী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সর্বসাধারনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যে কোন ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অভিযোগ দায়ের করে আইনী প্রতিকার চাওয়া উচিৎ।