সার্টিফিকেট আছে চাকরি নেই।হাজার হাজার বেকার দিশেহারা হয়ে পড়ছে।তাদের নিয়ে কাজ করছেন জিএম আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান।প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ উদ্যােক্তা তৈরি করছেন।রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরি। একজন ছেলে বা মেয়ে নির্দিষ্ট সময় প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করে ব্যবসা।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নিজে পণ্য ক্রয় করে বিক্রি করেন।আবার কেউ প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করেন।জিএম আইটির মাধ্যমে একজন শিক্ষিত বেকার নিজেকে দক্ষ উদ্যােক্ত হিসেবে গড়ে তুলেন।শক্ত মনোবল পণ্য বিক্রির দক্ষত পরিশ্রমি ও অধ্যবসায়ী করা প্রতিষ্ঠানটির মূল প্রশিক্ষণ।এরপর ডিজিটালাইজভাবে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলেন।জিএম আইটি শুধু উদ্যােক্ত করে ছেড়ে দেননা তাদের প্রশিক্ষার্থীদের। প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করে দেন।এতে প্রশিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ শেষে বসে থাকতে হয় না। সাথে সাথে অর্থ উপার্জন করতে পারে।চট্টগ্রামের আনোয়ার মো:ইসমাইল সাতকানিয়ার কানিজ ফাতেমা রাঙ্গুনিয়ার সৌরভ দত্ত পতেঙ্গার জিতু বড়ুয়া বলেন,আমরা খুব গরিব ঘরের সন্তান।উচ্চ ম্যাধমিক কোন মতে শেষ করেছি।সংসারে অভাব অনটন। চাকরি পাচ্ছিনা।এমন সময়ে জিএম আইটিতে নিয়ে আসেন পরিচিত একজন।প্রায় ৬ মাস কষ্ট করে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ব্যবসা শুরু করি।প্রথম প্রথম ৭-৮ হাজার পরে ১৫-১৭ হাজার টাকা আয় থেকে বর্তমান মাসে ৬০-৬৫ কোন সময় ৭৫ হাজার টাকা আয় করছি।কারো নির্দেশ মানতে হচ্ছেনা।নিজে নিজের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।ঘরে এসেছে সুখ শান্তি।আমাদের মতো বেকারদের উচিত চাকরির পেছনে না ঘুরে উদ্যােক্তা হওয়া।জেএমআইটির চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে বেকার। আমাদের আগের প্রজন্ম রক্ত দিয়ে আমাদেরকে স্বাধীন একটি দেশ উপহার দিয়েছেন। আমাদের উচিত স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে রূপান্তর করার জন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। জিএম আইটির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে চমৎকার ভূমিকা রাখছে।