সরকার পরিবর্তন ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় হয়ে উঠছে। ঘটছে দখল, বেদখলের ঘটনা। ইতোমধ্যে শহরের পেশকার পাড়া, ঘোনার পাড়া, লাইট হাউস, কলাতলী, দক্ষিণ পল্লান কাটাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটেছে। ছদ্দবেশী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন জনের পক্ষ-বিপক্ষে দখলবাজিতে যাচ্ছে। হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।
সিআইপি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী আতিক উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, শনিবার রাত ৯ টার দিকে শহরের চিহ্নিত অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, হত্যা মামলাসহ প্রায় ডজন মামলার পলাতক আসামি মো. তারেক মুন্নার নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরায় মহড়া দেয়। এরপর বাহিনীসহ দক্ষিণ পল্লান কাটা এলাকায় আমার নিজস্ব জায়গায় গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে, সীমানা পিলার ভাঙচুর করে এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারেক বাহিনীর সদস্যরা কিছুদিন আগে জেলা পুলিশ লাইনের পেছনে একটি ডেইরি ফার্মে হামলা চালিয়ে গরুসহ মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। অবলিলায় অপরাধ কর্ম চালাচ্ছে। বর্তমানে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার বাহিনীতে মোস্তফা, জসিম, রানাসহ ৩০ জন মতো সদস্য আছে। রয়েছে বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র।
তারেক বাহিনীর বিরুদ্ধে অতিসত্বর অভিযান চালানো খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পল্লান কাটার বাসিন্দা আবদুল গনি।
অপরাধী যেই হোক ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান।
তিনি বলেন, এলাকাভিত্তিক চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকা করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বিগত সরকারের আমলে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ এমন কোন অপরাধ কর্ম নেই যা তারেক করেনি। সিকদার বাজার এলাকার ডাবল মার্ডার থেকে শুরু করে নানা অপরাধের সাথে জড়িত। এই সন্ত্রাসী সম্পর্কে এলাকায় গোপন তদন্ত চালালে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রতিটি থানায় ওসি পদায়নসহ জেলা পুলিশকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। পুলিশিং আরো বেশি শক্তিশালী করা হচ্ছে।
নিয়মিত রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অ্যাকশন অব্যাহত রয়েছে।