আজ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪শে পৌষ ১৪৩১

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৫ জানুয়ারী ২০২৫ ০৯:৫১:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের আলোকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের প্রি  এন্টিজোন এলাকায় প্লাস্টিক দূষণ সচেতনতা এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

 

রোববার সকালের দিকে সাফারি পার্কের প্রি এন্টিজোন এলাকায় ডুলাহাজারা কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী প্লাস্টিক দূষণ সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।

 

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে দায়িত্বরত রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিত্যদিন সাফারি পার্কে ভ্রমণপিপাসুদের আগমন ঘটে। প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের আগমনের ফলে নানা প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থেকে পরিবেশ বিপন্ন করে। ইতিমধ্যে রক্ষিত ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের প্রেক্ষিতে সাফারি পার্কের উদ্যোগে প্রি এন্টিজোন এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। প্লাস্টিক হলো জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম বিপজ্জনক কারণ। মূলত পার্কের দর্শনার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্লাস্টিক দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা এবং টেকসই অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মাধ্যমে এ অভিযানে উৎসাহিত করা হয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, সাফারি পার্কের বাহিরে প্রি এন্টিজোন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ও খোলা জায়গায় যত্রতত্রে প্লাস্টিকের নানা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে রাখেন দর্শনার্থীরা। আগত দর্শনার্থী ও স্থানীয় জনগণ বেশির ভাগই প্লাস্টিক দূষণের পরিবেশগত ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। তাই সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো কার্যক্রম প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আগে আমরা একটি সচেতনতা সেশন পরিচালনা করি, যেখানে প্লাস্টিক দূষণের পরিবেশগত ক্ষতি এবং ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে যে হুমকি সৃষ্টি হয় তা অভিযানে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের তুলে ধরা হয়। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা পরিবেশ পরিষ্কার রাখার গুরুত্ব এবং টেকসই অভ্যাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিল।প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর গুরুত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন। তাঁদের পরিবেশের যত্ন নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা আরও সচেতনতা কার্যক্রম আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি। এই প্রচার কেবল একটি পরিবেশগত পরিচ্ছন্নতা প্রচেষ্টা নয়। এটি এমন একটি কর্মযজ্ঞ, যা সম্প্রদায়ের মধ্যে দায়িত্ববোধ এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, প্লাস্টিক সংগ্রহ, পুনর্ব্যবহার এবং শিক্ষার্থী সম্পৃক্ততার মতো সৃজনশীল পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এ উদ্যোগ দেশের টেকসই উন্নয়নের মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাবে বলে জানান তিনি।