চট্টগ্রাম নগরে স্থায়ী তিনটির পাশাপাশি এবার ৯টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। যদিও ২৩টি অস্থায়ী হাট বসাতে অনুমতি চেয়েছিল চসিক। গোয়েন্দা প্রতিবেদন এবং সার্বিক যাচাই-বাছাই শেষে নগরের ৯টি স্থানে হাট বসাতে অনুমতি দেওয়া হয়।
গত বছর চার স্থানে অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনটি স্থানে অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছিল। সে হিসেবে এবার নগরে পশুর হাট বেড়েছে ৬টি।
চসিক সূত্র জানা গেছে, বর্তমানে নগরে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় বাজার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত ১১ মে জেলা প্রশাসনের কাছে মোট ২৩ স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে অনুমতি চায় চসিক। এরপর জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে নগর পুলিশের বিশেষ শাখার (সিটি-এসবি) কাছে মতামত চায় । ১২ জুন সিটি এসবি জেলা প্রশাসনের কাছে মতামত প্রদান করে। ১৪ জুন জেলা প্রশাসন শর্তসাপেক্ষে ৯ স্থানে ২০ জুন থেকে ১৯ জুন মোট ১০দিন অস্থায়ী হাট বসাতে অনুমতি দেয়।
অনুমতি পাওয়া হাটগুলো হলো, চসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নূর নগর হাউজিং এস্টেট এলাকায় কর্ণফুলী গরু বাজার, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের খেজুরতলা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি মাঠ, একই ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, মুসলিমাবাদ টিকে গ্রুপের খালি মাঠ ও মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড় এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোড সিডিএ বালুর মাঠ।
জেলা প্রশাসন জানায়, অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে এবার বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধান সড়ক থেকে ন্যূনতম ১০০ গজ দূরে সুবিধাজনক স্থানে হাট বসাতে হবে। বাজারের চৌহদ্দির বাইরে রাস্তায় কোনো পশু রাখা যাবে না এবং খুঁটিও স্থাপন করা যাবে না। পশুর হাটে ইজারাদারের পক্ষ থেকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রত্যেক হাটে জাল নোট শনাক্তে যন্ত্র বসাতে হবে এবং পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। এছাড়া পশুর সুস্থতা যাচাই করতে প্রত্যেক হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসক বা সার্জনের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি পাওয়ার দিন অর্থাৎ ১৪ জুন ইজারাদার নিয়োগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ছুটির দিনসহ ১৭ জুন পর্যন্ত দরপত্র নেওয়া যাবে। পরদিন ১৮ জুন দুপুরে চসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় দরপত্র খোলা হবে। এরপর নির্ধারিত প্রক্রিয়া শেষে ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। গত বার কোরবানির ঈদের আগে মোট চার স্থানে অনুমতি পাওয়া গেলেও তিন স্থানে অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছিল।