ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রাথমিক চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রস্তুতিগ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ইতিমধ্যে ১৫ উপজেলায় ত্রাণ কার্য হিসেবে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ইতিমধ্যে ৫ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নগরে ৫১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর দামপাড়ায় কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় জানমালের ক্ষতি কমাতে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে চসিক। চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' আঘাত হানলে যাতে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি সর্বনিন্ম পর্যায়ে রাখা যায় এবং দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কাজ সর্বোচ্চ গতিতে পরিচালিত হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হল- ৪১টি ওয়ার্ডে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা, কন্ট্রোল রুম গঠন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা ও ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র গতিবেগ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জরুরি যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা, নাগরিকদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করা, আরবান মেডিকেল টিম, আরবান ভলান্টিয়ার ও উদ্ধারকর্মীদের প্রস্তুত রাখা, ঘূর্ণিঝড়ে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় যানবাহন ও বিদুৎ সরবরাহ ও সড়কবাতি নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশনা দেন।