কক্সবাজার শহরে নির্মাণাধীন ভবনের সেফটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে ২ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১ জন। রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ সংলগ্ন সৈকত আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার মৃত মো. সোলেমানের ছেলে আবুল কাশেম (৪৫) এবং কক্সবাজার শহরের জেল গেইট এলাকার আব্দুল মোনাফের ছেলে নুরুল হুদা ওরফে জাম্বু (২৪)। এতে আহত হয়েছেন, কক্সবাজার শহরের ঘোনা পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। হতাহতরা সবাই নির্মাণ শ্রমিক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক মোহাম্মদ রুবেল বলেন, পানির ট্যাংকে আমরা ৭ জন কাজ করছিলাম। আবুল কাশেম নামে ১ জন সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে পরিস্কার করতে নামেন। এতে ট্যাংকের ভেতরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আবুল কাশেমকে উদ্ধারের জন্য ট্যাংকে নামেন নুরুল হুদা ওরফে জাম্বু। তিনিও অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর ট্যাংকের ভেতরে অচেতন ২ জনকে উদ্ধারে নামেন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান নামে আরেক শ্রমিক। এতে তিনিও অবচেতন হয়ে যান।
তিনি বলেন, ট্যাংকের ভেতরে অবচেতন ৩ জনকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত শ্রমিকরা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, রোববার দুপুরে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ সংলগ্ন সৈকতে আবাসিক এলাকায় সৌদি প্রবাসী মোস্তাক আহমদের নির্মাণাধীন ভবনের একটি সেফটিক ট্যাংকে কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। ট্যাংকের ভেতরে কাজ করতে নেমে ৩ শ্রমিক অবচেতন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেন সংকটের কারণে এ মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
