শরীয়তপুরের জাজিরায় মাইক্রোবাস উল্টে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় মা ও আরেক মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক রাশেদ। তিনি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের দাতপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তার মেয়ের নাম মাইশা মীম। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার কক্সবাজার থেকে পরিবার নিয়ে শরীয়তপুর আসছিলেন রাশেদুল হক রাশেদ। পথে নড়িয়ার জামতলা এলাকায় পৌঁছালে গাড়ি উল্টে সড়ক থেকে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদ ও তার দেড় বছরের মেয়ে মীম মারা যায়। স্ত্রী ও মেয়ে গুরুতর আহত হয়। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রাশেদুল হক রাশেদের ভাগনে জাহিদ হোসেন বলেন, আমার মামা তার পরিবার নিয়ে গতকাল কক্সবাজার থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। পদ্মা সেতু এলাকায় এসে মামা গাড়ির চালককে পেছনে বসতে বলে নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। জাজিরা মহাসড়কের দাতপুর এলাকায় পৌঁছালে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়।
আহত চালক কামরুল হাসান বলেন, গত বুধবার আমরা কক্সবাজার যাই। শরীয়তপুর থেকে রাশেদুল হক স্যার, ম্যাডাম ও তাদের দুই মেয়ে মেবিন এবং মাইশাকে নিয়ে রওনা হই। ভ্রমণ শেষে আমরা শরীয়তপুরে ফিরছিলাম। ঢাকায় আসার পরে আমাকে পাশে বসিয়ে স্যার নিজেই ড্রাইভ করছিল। কিছু দূর যাওয়ার পরে আমি বারবার স্যারকে নিষেধ করেছি। ম্যাডামও তাকে ড্রাইভ করতে নিষেধ করেছে। সে বলেছে সমস্যা নেই। জাজিরা পার হয়ে নড়িয়ার জামতলা আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় মাইক্রোবাস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শরীয়তপুরের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, আমরা রাত আনুমানিক ৪টার দিকে খবর পাই, নড়িয়ার জামতলা এলাকায় একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে গেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। পানিতে পড়ে থাকা একটি মাইক্রোবাস টেনে তুলি। সেখানে দেড় বছর বয়সী শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।