সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহত রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসতেই শত শত স্বেচ্ছাসেবক রোগীদের নিয়ে টানাটানিতে লিপ্ত হয়। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক টিমের সঙ্গে পরম্পর হাতাহাতিও হয়েছে।
শনিবার (৪ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২ টা থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত ও নিহত রোগীদের আনা হয়। পরে আকস্মিক শত শত স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিতি ঘটে। তাদের হাতাহাতিতে রোগী নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় আহত রোগীদের।
পুলিশ বলছে, এত বেশি স্বেচ্ছাসেবক এখানে চলে এসেছে আমরা নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পাচ্ছি না। কয়েকবার বুঝানোর পরেও তারা যাচ্ছে না।
এন্টি র্যাফ ক্যাম্পেইনের সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা শুরুতেই এখানে এসেছি। হঠাৎ এত সহযোগী আসছে। রোগীরাই কষ্ট পাচ্ছে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক সদস্য ইফতেখার হোসেন ইমু বলেন, আমরা কাজ করছি, কিন্তু এত মানুষ নিজেরাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। রোগী নিতে কষ্ট হচ্ছে। মাইকিং করছি। তার পরেও তারা সরছে না।
শনিবার (৪ জুন) রাত ৮ টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক। মমিনুল হকসহ (২৪) আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রাজীব পালিত বলেন, এত বেশি স্বেচ্ছাসেবক এখানে এসেছে আমরা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।