আজ শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫শে মাঘ ১৪৩১

সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের আহব্বায়ক জহির, সদস্য সচিব মেহেদী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুণ্ড | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৯:০১:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

সীতাকুণ্ডের পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলামকে আহব্বায়ক ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি সুলাইমান মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ কমিটিতে প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সংগ্রামের সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসিকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। 

 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সাধারণ সভায় সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে এ আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে আরও ৮ জনকে সদস্য করা হয়েছে। 

 

এরা হলেন, কমিটির সদস্য খবরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার এম কে মনির, দৈনিক দিনকালের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, খোলা কাগজের প্রতিনিধি হাকিম মোল্লা, কালবেলার প্রতিনিধি এস এম ইকবাল হোসেন, বিজয় টিভির মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা প্রতিদিনের প্রতিনিধি ইলিয়াছ ভূঁইয়া, সকালের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার ফারহান সিদ্দিক, দৈনিক জনতার প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। 

 

ক্লাব কার্যালয়ে সকাল অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম। এসময় অন্য সাংবাদিকরা ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পক্ষে মতামত দেন। এছাড়াও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব সংস্কার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হন। 

 

নবগঠিত কমিটির আহব্বায়ক জহিরুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর সারাদেশের চিত্র বললালেও বদলায়নি চট্টগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা সীতাকুণ্ডের চিত্র। যেখানে মহানগরের চিত্র পাল্টে গেছে। সেখানে এখনও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রেস ক্লাবে রয়ে গেছে। তারা আগের মতোই সরকার ও ছাত্রজনতা এবং বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ক্লাবকে সংস্কার করার প্রয়োজন দেখা দেয়ায় আগের মতোই ফ্যাসিবাদ আদলে ক্লাব চালাচ্ছে। ইসকনের সদস্য, আওয়ামী দোসরদের বহাল রেখে সব কার্যকলাপ করে যাচ্ছে। 

 

আমরা সাধারণ সদস্যরা অবহেলিত। ছাত্র-জনতার বিল্পবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে অবৈধ কমিটি। আমরা মনে করি অবিলম্বে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব ও ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করতে হবে। এজন্য ছাত্রজনতা থেকে শুরু করে আমজনতা, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করছি। 

 

 

সদস্য সচিব সুলাইমান মেহেদী হাসান বলেন, প্রেস ক্লাব একটি উপজেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের সুখ-দুঃখের কথা বলবেন সাংবাদিকরা। তাদের বঞ্চনার গল্পগুলো শব্দে শব্দে তুলে আনবেন পত্রিকার পাতায়। অথচ তার উল্টো ঘটছে সীতাকুণ্ডে। এখানকার এক শ্রেণির দালাল আর ফ্যাসিবাদের দোসররা মিলে গণমাধ্যমকে শেষ করে দিচ্ছে। চারদিকে অন্যায় হলেও তারা পেইড এজেন্ট এবং আমলাদের পিআর হিসেবে হাজির হচ্ছে। যেন একেকজন জনসংযোগ কর্মকর্তা। ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের হাতে নির্যাতিত ও নিষ্পেশিত এবং মামলা-হামলার শিকার হয়ে সীতাকুণ্ড ছাড়া হওয়া সাংবাদিকদের তারা নানা বেকায়দায় ফেলছে। সাংবাদিক সংগঠনের নামে  বিধবা নারীর জমি দখল, চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবকে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করতেই আমাদের কমিটি কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, উপজেলায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ প্রেস ক্লাবকে ফ্যাসিবাদের রাহুমুক্ত, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অপ-সাংবাদিকতার কলঙ্কমুক্ত করার পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে চলবে নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজ।  তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে সাংবাদিকতায় দেশপ্রেমের প্রেরণা। 

 

 

যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি বলেন, সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব গঠিত হয়েছে আমাদের হাত ধরে। অথচ আজকে যারা আহব্বায়ক কমিটিতে স্থান পেয়েছে তারা প্রত্যেকে সদস্য। ১৭ বছর ধরে তাদেরকে কাগজে-কলমে বাদ দিয়ে অস্বীকার করে এসেছে সাংবাদিক নামধারী স্বৈরাচারের দোরসরা। এজন্য সত্যিকার অর্থে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সংস্কার প্রয়োজন।