আজ বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:৫৯:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

মানবাধিকার হচ্ছে মানুষের জন্মগত অধিকার। একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করার পর যেসব অধিকার ভোগ করবে তাই মানবাধিকার। মানবাধিকার সংবিধান দ্বারা সংরক্ষিত। আইনের চোখে সকলে সমান। যেকোন ক্ষেত্রে বৈষম্য করা যাবে না। কিন্তুু আমরা এসব কথা মুখে বলি, কেউ মানিনা। মানবাধিকার সবার আগে বাস্তবায়ন করতে হবে পরিবারগুলোতে। কেননা পরিবারেই সবচেয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। আমরাই আমাদের পরিবারের সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছি। ঘরের অসুস্থ ব্যক্তিকে অবহেলা করছি। মা-বাবাকে অবজ্ঞা করছি। তাই সবার আগে মানবাধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে পরিবারে। পরিবারের কর্তাদের অন্যান্য সদস্যের মানবাধিকার নিয়ে ভাবতে হবে। একক ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমরা মানবাধিকারের কথা ভুলে যায়। নিজে মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েই রাস্ট্রের কাছে মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হতে পারব। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটি সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও র‌্যালীতে 

বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, মানবাধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। আমরা সকলে এসব অধিকার চাইলেও কেউ কথা বলতে রাজি না। আমরা কথা বলতে ভয় করি। কেউ পদ হারানোর ভয় করি, কেউ ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার ভয় করি, কেউ বিরাগভাজন হওয়ার ভয় করি। তাই আমরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলিনা। চারদিকে অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। আমরা চুপচাপ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের উপরও সে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে। আমাদের সকলকে মানবাধিকারের বিষেয় সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। সব প্রকার বৈষম্য দূর করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতার সমাজ গঠনের এখনই সময়। 

 

সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটি সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সভাপতি শিবলু মির্জার সভাপতিত্বে ও সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক এম কে মনির এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড পৌরসদর ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ওয়াহিদী। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংস্থা মণীষা'র প্রধান নির্বাহী আজমল হোসেন হিরু, ডিজিবেলিটি ডেভেলপমেন্ট ফোরামের প্রধান নির্বাহী ইলিয়াছ ভূঁইয়া, মানবাধিকার কর্মী হান্নান, সৈয়দ আল হোসাইন আয়াজ প্রমুখ। 

 

১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালের এই দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে এ দিনটি পালিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ‘বৈষম্য ঘোচাও সাম্য বাড়াও মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও' এ প্রতিপ্রাদ্যে সারাদেশে আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা বাণী প্রদান করেছেন।