
সন্দ্বীপের প্রাণকেন্দ্র বা মধ্যবর্তী স্থানে এনাম নাহার মোড় কারণ ৩ লক্ষ ২৭ হাজার মানুষের বসবাসের এ উপজেলার সাথে সীতাকুণ্ড ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে যুক্ত কুমিরা-সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া সড়ক। আর এ সড়কে মাঝখানে এনাম নাহার মোড় রয়েছে যেখান থেকে এসে এ মোড় অতিক্রম করতে হবে। কিন্তু এখানে মূল সমস্যা হলো, রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ছিল না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা, বেলা টা দেখা যায় সড়কের দুই পাশে সিএনজি অটোরিকশা দাঁড়ানো। এলোমেলোভাবে সড়কের উপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করাচ্ছে সিএনজি অটোরিকশাগুলো। মোড়ের উত্তর-দক্ষিণ দেলোয়ার খাঁ সড়ক ১৮ ফুট হলেও পূর্ব-পশ্চিমে গুপ্তছড়া সড়ক ১২ ফুট। এ সড়কের সরু হয়ে আসা মাঝের অংশটুকু দিয়ে মন্থর গতিতে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। আর সে কারণেই তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।
এনাম নাহার মোড়ে বিভিন্ন স্থানে তিনভাগের দুই ভাগ রাস্তায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখার কারণে তীব্র অসুবিধা পোহাতে হয় পথচারীদের, বিঘ্ন সৃষ্টি হয় যানবাহন চলাচলে। সাপ্তাহের প্রতিদিন এই মোড়ে যানজট লেগে থাকে। কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় কেউ কারো কথা শুনে না। যেখানে সেখানে পার্কিং ও যাত্রী উঠানামার কারণে দিন দিন ভেঙে পড়ছে সন্দ্বীপের পরিবহন ব্যবস্থা। ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিকশা খেয়ালখুশিমতো যাত্রী তোলার কারণে এই মোড়ে যানজট লেগে থাকে দিনভর।
রবিবার দিনের বেশিরভাগ সময় পর্যন্ত এ মোড়ে দেখা যায় যানজটে স্থবির পুরে মোড়ের চারদিক, দক্ষিণে সন্দ্বীপ থানার সামনে থেকে উত্তরে সন্দ্বীপ ফায়ার সার্ভিসের অফিস, পশ্চিমে সিটি সেন্টারের সামনে থেকে পূর্বে মোহাম্মদ মিয়া কমপ্লেক্স পর্যন্ত ধীরগতিতে চলছে সব রকমের পরিবহন ও যাত্রীবাহী গাড়ি। এ সময় অনেক মানুষকে হেঁটে চলাচল করতে দেখা গেছে, তবে গাড়ির যানজটের কারণে হেঁটে চলা ছিল দুস্কর। এনাম নাহার মোড়ের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিএনজি ও অটোরিকশাগুলো সড়কের অর্ধেক অংশজুড়ে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় পথচারী, চাকুরীজীবী ও নানান শ্রেণীর জনসাধারণের। এ সড়কের যানজট নিরাসনের জন্য গত ২১ নভেম্বর পৌর প্রশাসকের একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছিল। তাতে উল্লেখ ছিল যানজট নিরাসন কল্পে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এনাম নাহার থেকে দলইপাড়া পর্যন্ত ট্রাক, ট্রলি ও ভারি যানচলাচল বন্ধ থাকবে। কিন্তু এই সপ্তাহ পর কে শুনে কার কথা, সব রকমের গাড়ি ছিল সড়কে।