
ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার ও রোগীর নিরাপত্তা বিধানে ফার্মাকোভিজিল্যান্স কার্যক্রম কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, সকল হেল্থকেয়ার প্রফেশনালস্ আন্তরিকভাবে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন ও বেশি রিপোর্ট করা দরকার।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল এর সম্মেলন কক্ষে “ফার্মাকোভিজিল্যান্স এন্ড এ.ই.এফ.আই মনিটরিং” বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এসব কথা বলেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) আয়োজিত এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মোমিনুর রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং ফার্মাকোভিজিল্যান্স ফোকাল পয়েন্ট ডাঃ মোঃ আশিকুর রহমান।
মূল্যবান বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ আইয়ুব আলী, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন, ডা. মুহাম্মদ নুরুল আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (সিসি) মির্জা মোঃ আনোয়ারুল বাসেদ, কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মহিউদ্দিন মোঃ আলমগীর, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলী এহেসান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এস.আই.এম.ও ডাঃ মেহজাবিন, ইউএসএআইডি এমটিএপিএস এর কান্ট্রি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর ডাঃ এস এম আবু জাহিদ, নার্সিং সুপারভাইজর চম্পক রায় চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তাদের অভিমত, দেশের সকল হাসপাতাল, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী ও জনস্বাস্থ্য কর্মসূচীতে ফার্মাকোভিজিল্যান্স কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন। যে কোন ওষুধ বা ভ্যাকসিন ব্যবহারের পর কারো দেহে কোন পার্শ্ব বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হলে নিকটস্থ ডাক্তার, নার্স বা ফার্মাসিস্ট এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে রিপোর্ট করতে পারেন। ওষুধের পার্শ্ব বা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট করার জন্য নির্দিষ্ট ফরম ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।
ফার্মাকোভিজিল্যান্স সিস্টেম এর উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপরিচালক ও ন্যাশনাল ফাম্যাকোভিজিল্যান্স সেন্টার এর ফোকাল পয়েন্ট ড. মোঃ আকতার হোসেন এবং সহকারী পরিচালক মাহবুব হোসেন।
তারা জানান, ঔষধ বা ভ্যাকসিন ব্যবহারের ফলে কারো শরীরে কোন পার্শ্ব বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হলে তা মনিটরিং এর আওতায় এনে ঔষধ বা ভ্যাকসিনকে অধিকতর নিরাপদ করার বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম ‘ফার্মাকোভিজিল্যান্স’ নামে পরিচিত।
ওয়ার্কশপে কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক রোমেল মল্লিক, সদর হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, কনসালটেন্ট, বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকবৃন্দ, নার্স, ফার্মাসিস্ট, ন্যাশনাল ফার্মাকোভিজিল্যান্স সেন্টারের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউএসএআইডি এমটিএপিএসের কর্মকর্তাবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কারিগরী সহায়তা দেন ইউএসএআইডি এমটিএপিএস।