
মিরসরাইয়ে বসন্ত উৎসব, তরুণ উদ্যোক্তা মেলা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঙালির চিরায়ত রসনা অনুষঙ্গ ‘পিঠা’র পাশাপাশি গ্রামীণ ঐতিহ্য ও তরুণ উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি যে একটি আয়োজনকে কতটা বর্ণিল করে তোলে, তা উপলব্ধি করলেন উৎসবে আসা দর্শকরা। শুধু কি তাই, নামমাত্র দামে বাহারি নকশা আর স্বাদের পিঠা দিয়ে রসনা তৃপ্তির সুযোগ। বুধবার (পহেলা ফাল্গুন) দিনভর এ সুযোগ ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মিরসরাইয়ান’ এর সার্বিক সহযোগিতায় মিরসরাই ক্যাফে রেষ্টুরেন্ট এর আয়োজনে এই পিঠা উৎসব সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পিঠা উৎসবে ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।
স্টলে স্থান পাওয়া উল্লেখযোগ্য পিঠার মধ্যে ছিল পিঠা উৎসবে তৈরি পিঠাগুলোর মধ্যে ডিম সুন্দরী, পাটিসাপ্টা, ক্ষিরশা, নারিকেল পুলি, শিমের ফুল, কলসী ফুল, ফুলঝুরি, পাতা পিঠা, মধুভাত, নকশি পিঠা, জালা পিঠা, ক্ষিরের নাড়–, তিলের পিঠা, দাঁতের পিঠা, আনন্দ বিলাস, কলা পাতার টুই, লাউ ও গোলাপ পিঠা সহ প্রায় দেড় শতাধিক রকমের পিঠা নিয়ে ১১ টি স্টলে মিরসরাইয়ের উদ্যোক্তারা বাহারি পিঠার ডালি নিয়ে প্রস্তুত ছিল।
সর্বনিম্ন ৫ টাকা দামের শিমের ফুল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত দামের পিঠা বিক্রি হয়।
মিরসরাই ক্যাফে রেষ্টুরেন্ট পরিচালক শাফাত ইশতিয়াক জানান, বর্তমান প্রজম্মকে গ্রাম বাংলার ঘর থেকে পরিচিতি হারানো পিঠাগুলোর সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এ আয়োজন করা হয়। মিরসরাই ক্যাফে দ্বিতীয় বারের মতো এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। তিনি আরো জানান আজকের পিঠা বিক্রির পুরো টাকাটা এতিম শিশুদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, ছোট বেলায় যে সব পিঠাগুলো খেয়েছিলাম, সময় সুযোগের কারণে এখন খাওয়া হয় না। এখানে এসে অনেকগুলো পিঠার পাশাপাশি গ্রামীণ অনেক কিছু দেখতে পেলাম। বসন্ত উৎসব ও তরুণ উদ্যোক্তা মেলা আয়োজন করার জন্য মিরসরাই ক্যাফেকে ধন্যবাদ জানান।