আজ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

বোয়ালখালী হাসপাতালের দরপত্র ছিনতাই, দুই যুবলীগ নেতা আটক

বোয়ালখালী প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৩৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মেডিকেল সার্জিকেল রি-এজেন্ট ও ঔষধ সরবরাহের দরপত্র ছিতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার(১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটেছে। সময় ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ দুই যুবলীগ নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়।

 

মেসার্স শাহিন ফামের্সীর স্বাত্তাধিকারী হাসান মুনসুর শাহিন  এ ঘটনায় উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তার  কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আটকৃতরা হলেন, উপজেলা যুবলেিগর যুগ্ন সম্পাদক মো. সায়েম (৩৫) ও পৌর যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো দেলোয়ার হোসেন(৪০)। 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল সার্জিকেল রিএজেন্ট ,রোগীদের ঔষধ, বিছনাপত্র ও আসবাবপত্র সরবরাহের দরপত্র জমা দেয়ার তারিখ ছিল বুধবার। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ডাকা  এ দরপত্রে  ৬৬ জন ঠিকাদার ৩ হাজার ১শ টাকা দরে দরপত্র ক্রয় করেন। তার বিপরীতে ৩৪টি দরপত্র জমা হয়।

গতকাল বুধবার সকালে দরপত্র জমাদিতে গেলে বাধার মুখে পড়েন বেশ কয়েকজন ঠিকারদার। তার মধ্যে মের্সাস শাহিন ফার্মেসীর পক্ষে দরপত্র জমা দিতে গেলে কিছু সন্ত্রাসী হাসপাতালের সামনে গতিরোধ করে ওই প্রতিষ্টানের মার্কেটিং ম্যানেজার মো. সাদমান(৩৪)কে ধরে হাসপাতালের পিছনে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার কাছে থাকা প্রতিষ্টানের সকল দরপত্রসহ  কাগজপত্র ও পে-অর্ডরের চেক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে  মো. সায়েম ও দেলোয়ার নামের দুই যুবলীগ নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

মের্সাস শাহিন ফামের্সীর স্বত্ত¡াধিকারী  হাসান মুনছুর শাহিন জানায়, সকালে তারা দরপত্র জমা দিতে আসলে যুবলীগ নেতা সায়েমের নেতৃত্বে ১০/১২ সন্ত্রাসী হাসপাতালের সামনে তাদের গতিরোধ করে তার ম্যানেজার  সাদমানকে ধরে নিয়ে যায়। তারা তাকে হাসপাতালের পিছনে নিয়ে গিয়ে তাকে মারধর করে প্রতিষ্টানের দরপত্রের কাগজপত্র ও পে-অর্ডারের চেক ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটকে রাখে। এ সময় উপস্থিত পুলিশ এ এসআই দিদারের সহযোগীতা চাইলে তিনি সহযোগীতা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে ৯৯৯এ ফোন দিয়ে সহযোগীতা চাওয়া হলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে দুই যুবলীগ নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়। এর আগে দরপত্র জমা দেয়ার সময় সূচী পার হয়ে গেলে যুবলীগ নেতা সায়েম পে-অর্ডারের কপি ফেরত দিয়ে দেয়। আগে এ টেন্ডারগুলো  জেলা সিভিল সার্জনের আওতায় ছিল। এখন উপজেলায় নিয়ে যাওয়ায় ঝামেলা বেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: জিল্লুর রহমান বলেন, আজকের ঘটনাটি অনাকাংখিত। এ  বিষয়ে উপরে জানানো হয়েছে এবং ঠিকাদারের লিখিত অভিযোগটি বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, গোন্ডগোলের খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী দুজনকে আটক করা হয়।পরে মুচলেখা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

 এ বিষয়ে জানতে উপজেলার যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নানের মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত দুই যুবলীগ নেতা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় দাবী করেন এবং তাদের আটকের বিষয়টিও অস্বীকার করেন।

 

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়