আজ শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিয়ের নামে প্রতারণা, যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:২৮:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এক নারীর সঙ্গে চার মাসের সংসার করার অভিযোগে মো. শাহীন (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।  

 

সোমবার (১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্টেস্ট্র বেগম মুমিনুন্নিসা খানমের আদালতে এই মামলা করেন হাটহাজারীর থানার দক্ষিণ পাহাড়তলীর ২৯ বছরের ভুক্তভোগী তরুণী।

 

 

অভিযুক্ত মো.শাহীন, সীতাকুণ্ড থানার ভটিয়ারি ইউনিয়নের মাদামবিবির হাট এলাকার নাজিম চেয়ারম্যান বাড়ির মিজান নেজামীর ছেলে।  

 

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আইনবহির্ভূতভাবে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এক নারীর সঙ্গে চার মাসের সংসার করার অভিযোগে মো. শাহীন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা আবেদন করা হয়।

 

 আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবেশী এক তরুণীর মাধ্যমে মো. শাহীনর সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয়। ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের এক পর্যায়ে আসামীর মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক তৈরি হয়। প্রেমের সর্ম্পকের জেরে ভুক্তভোগী বিবাহের প্রস্তাবে দিলে রাজি হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর নগরের কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডে একটি কাজী অফিসে কোনো সাক্ষী এবং আকদ ব্যতীত বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করে আইনগতভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে বলে ভুক্তভোগী তরুণীকে জানায়। আইনানুগ স্বামী বিশ্বাস করে গত ৩ অক্টোবর কক্সবাজাররে একটি হোটেলে এক সঙ্গে অবস্থান করেন। ভুক্তভোগী একই ছাদের নিচে সংসার শুরু করতে শাহীনকে টাকা ফেরত প্রদানের শর্তে ২ লাখ টাকা প্রদান করে। ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সীতাকুণ্ড থানার ভাটিয়ারি স্টেশন রোড নতুন মসজদিরে পাশে রুহুল আমিন সিদ্দিক বিল্ডিংয়ে একটি ভাড়া বাসা নিয়ে স্বামী ও স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করে। ভুক্তভোগী বিবাহের কাবিন চাইলে কালক্ষপেণ করতে থাকে। সঙ্গে পাওনা ২ লাখ টাকা ফেরত চাইলে টাকা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে। এর মধ্যে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে ভুক্তভোগীকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারে পেটে লাগলে ব্যথায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় র্স্বণের কানের দুল ও নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আঘাতের কারণে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে।



সবচেয়ে জনপ্রিয়