জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি একটি গণবিরোধী পদক্ষেপ। একটি কল্যাণকামী সরকার কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের ওপর এ ধরণের অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে না। দেশের মানুষ আজ চরম দিশেহারা। সরকার বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী— প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, কেরোসিন ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত সরকারের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ।
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জেলা জাপার বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জেলা জাপার আহ্বায়ক মোঃ মেহেরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা সদস্য সচিব মুফিজুর রহমান মুফিজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, জেলা ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক ফরিদ মিয়া, সদর উপজেলা জাপা সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব সরওয়ার আলম, জেলা শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক এসএম বাবর, জেলা যুবসংহতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা সাগর, পেকুয়া উপজেলা জাপা সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা জাপা নেতা সাইফুল হক, ছাত্রসমাজের মহেশখালী উপজেলা আহবায়ক আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম।
জাপার কেন্দ্রীয় সদস্য ও কক্সবাজার শহর সভাপতি নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়ে জনগণের সাথে প্রহসন করেছে সরকার। এমন সিদ্ধান্তের কারণে জনগণ প্রতিটি ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়েছে। পরিবহনের ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্রসহ সবকিছুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ জানিয়ে অবিলম্বে দাম কমিয়ে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান জাপা নেতারা।
বিক্ষোভে জাপার বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।