কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিসহ ৭৩৬ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় রবিবার পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
পৃথক এই মামলায় এজাহানামীয় একটি মামলায় ১৫৬ জন ও অপর আরেকটি মামলায় ১৮০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এসব আসামীরা আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
সাবেক এমপি জাফর আলমসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামী করে মামলাটি বাদী হয়ে রুজু করেন চকরিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়াড বিএনপি নেতা নাজেম উদ্দিন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে মামলাটি রুজু করেন লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চকরিয়া থানা সেন্টার জামে মসজিদ সংলগ্ন চৌরাস্তার মোড়সহ একাধিক স্থানে সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাসিনা আহমদসহ দলীয় নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাজেম উদ্দিন বাদী হয়েছে একটি মামলা রুজু করেন। অপরদিকে ২০২৪ সালের গত ৩ নভেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে একটি ইজিবাইকে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে অপর মামলাটি রুজু করেন।
ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামী হিসেবে সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি ছাড়াও দুই মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা ছরওয়ার আলম, মহসিন বাবুল, সাজিদ হোসেন সাকিব, নজরুল ইসলাম রাসেল, নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, সাবেক এমপির ভাতিজা জিয়াবুল হক, ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, ব্যক্তিগত সহকারি আমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান যথাক্রমে আজিমুল হক আজিম, দিদারুল হক সিকদার, বদিউল আলম, শওকত ওসমান, আওরঙ্গজেব বুলেট, হেলাল উদ্দিন, হাসানুল ইসলাম আদর, জামাল হোসেন চৌধুরী, নবী হোছাইন চৌধুরী, মক্কী ইকবাল হোসেন, মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ, মিরানুল ইসলাম, এস এম জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা আরহান মাহমুদ রুবেল, তারেকুল ইসলাম রাহিত, আকিত হোসেন সজিব, তানভীর হাসান রিফাত প্রমূখ।
মামলা দুটি রুজু হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া। তিনি জানান, থানায় দায়েরকৃত পৃথক দুই মামলার এজাহারনামীয় আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে বলে তিনি জানান।