আজ রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ই ফাল্গুন ১৪৩১

হারামিয়া মুছাপুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ পর্যায়ে খুশি এলাকাবাসী

ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৫:১৪:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

সন্দ্বীপ  উপজেলার হারামিয়া মুছাপুর  ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ  সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে গত তিন মাস আগে এখন সড়কের কাজ শেষ পর্যায়ে  গত বছর স্হানীয় আঞ্চলিক  দৈনিক সাঙ্গু  ও জাতীয় পত্রিকাকায় রাস্তা ভেঙ্গে খালে, সড়ক বেহাল   চলাচলে ভোগান্তি’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের পরই মূলত সংশ্লিষ্টরা সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। 

 

 

সন্দ্বীপ  স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে সড়ক সংস্কারের মালামাল আনা হয়। আর  জানুয়ারি  থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয়। প্রথমে বালু দিয়ে সড়কটি ভরাট করে উঁচু করা হবে। পরে পিকেটিং ও কার্পেটিংসহ অন্যান্য কাজ করা হবে। হারামিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের অংশ ও মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আংশিক অংশে ৭৩ লক্ষ  টাকার ব্যায়ে  কাজটি করছে মেসার্স আরজু ব্রাদার্স নামে  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

 

স্থানীয়রা জানান,  উপজেলার দুই   ইউনিয়নের হারামিয়া ৮ নং ও মুছাপুর ৯ নং  এলাকা দেড়  কিলোমিটার সড়কটি দিয়ে উপজেলা  শহর, থানা সংযোগ  মোড় পন্ডিতের হাট  সহ    এলাকার মধ্যে যাতায়াত করা যায়। দুটি  ইউনিয়নসহ পূর্ব সন্দ্বীপ এনাম নাহার বালিকা ও পূর্ব সন্দ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এ সড়কে চলাচল করে। প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও মিনি পিকআপ, ট্রাক, দূরপাল্লার পরিবহন, লেগুনাসহ শত শত যানবাহন চলাচল করে। সড়কের অন্তত শতাধিক স্থানে গর্তের সৃষ্টি ছিল । এতে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে তাদের। বর্তসানে সড়কের ৯০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এতে এলাকার মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে । কারণ তারা মনে করছেন যে এ রাস্তায় বর্ষাকালে এক কোমড় সমান পানি ছিল । পাকাকরণ করার পর আর সে পানিতে নামতে হবে না। 

হারামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন  প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিষয়টি  নজরে আসে। মাননীয় সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার ঐকান্তিক প্রচাষ্টায় কাজটি দুটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের  পুরো কাজ  সম্পন্ন হয়েছে। এতে করে দুই ইউনিয়নের মানুষের আর ভোগান্তি থাকবে না। 

মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম বলেন এ সংযোগ সড়কের কাজের ফলে আমাদের দুই ইউনিয়নের মানুষের ভোগান্তি যেমন লাগব হলো তেমনি আমাদের স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার আর সমস্যা হবে না। মাননীয় সাংসদের আন্তরিকতায় এ কাজ সম্পন্ন হলো।

সন্দ্বীপ উপজেলা 

এলজিইডি   প্রকৌশলী রেজাউন নবী  বলেন, ‘দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে ছিল সড়কটি। এটি সংস্কার হলে এলাকার হাজার হাজার  মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।’ আমাদের এলজিইডির কাজ চলমান রয়েছে বাকি সড়কের কাজ ও আমরা দ্রুত সম্পাদন করব।