মিরসরাইয়ে ফেনী নদীতে পড়ে মো. জাহেদুল ইসলাম (১৭) নামে এ যুবক নিঁখোজ হয়েছে। রবিবার (২৩ জুন) রাত দশটার সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টের উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের আমলীঘাট এলাকার মেরকুম নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। জাহেদ পূর্ব অলিনগর গ্রামের মো. ফারুক ইসলামের ছেলে। তাকে উদ্ধারে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যানরা অভিযান চালায়। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৩টায় উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস থেকে আসা ৩ সদস্যের ডুবুরি দল।
জাহিদের বাবা ফারুক ইসলাম বলেন, আমলীগাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সময় চোরাই পথে চিনি আসে। সোমবার রাতে আমার ছেলে সহ আরো অনেকে চিনি আনতে গিয়েছিলো। তখন বিএসএফের তাড়া খেয়ে সবাই চলে আসলেও আমার জাহিদ আসেনি। সে কানে কম শুনে এবং সাঁতার জানে না। জাহিদ কি বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে না পানিতে ডুবে ভেসে গেছে সেটা জানি না। জাহিদের অপেক্ষায় রবিবার রাত থেকে তার মা সহ আমরা নদীর পাড়ে আছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আজাদ উদ্দিন বলেন, মো. জাহেদ লেবু বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। রবিবার রাতে ফেনী নদীতে সে নিঁখোজ হয় বলে শুনেছি। স্থানীয়দের মতে জাহেদ ভারত সীমান্ত থেকে চিনি সহ বিভিন্ন দ্রব্য চোরাচালানের কাজেও জড়িত ছিলো। হয়তো কোন কিছু আনতে গিয়ে নদীতে সে ডুবে গেছে।
বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, ফেনী নদীর আমলীঘাট সীমান্তে নিঁখোজ হওয়া যুবক উদ্ধারের জন্য সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়েছে। বিকাল ৩টা থেকে চট্টগ্রাম থেকে আসা ৩জন ডুবুরিও অভিযানে অংশ নেয়। আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। নদীর যে স্থানে সে নিঁখোজ হয়েছে ওই অংশে গভীরতা প্রায় ৪০ ফুট। কোথাও কোথাও প্রায় ৬০ ফুট গভীর হবে। ধারণা করা হচ্ছে সাঁতার না জানায় সে ¯্রােতে ভেসে গেছে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ফেনী নদীতে যুবক নিঁখোজ হওয়ার বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তারপরও আমরা এবিষয়ে খোঁজ নেব।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) আমলীঘাট ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার খুরশেদ বলেন, ফেনী নদীতে যুবক নিঁখোজের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস থেকে আমাদের অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নো ম্যানস্ ল্যান্ডে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ভারত থেকে চিনি আনতে গিয়ে বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে যাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। তাছাড়া এ বিষয়ে কেউ আমাদের অভিযোগও করেনি।