আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাজেটে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থানে বরাদ্দ কমছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ ১১:৪৮:০০ পূর্বাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

টানা দুই বছর করোনা মহামারির প্রভাবে গতি হারিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। সেই অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরাতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও নিচ্ছে নানা উদ্যোগ। করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় গুরুত্ব দিয়ে পর পর দুটি বাজেটের ঘোষণার পর এবার কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে জাতীয় বাজেট ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। আগামী ৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আসছে বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ কিছুটা বাড়লেও কমছে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে বরাদ্দ।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর তা কিছুটা বেড়ে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে এ মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো বা কমানো হতে পারে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। এরই মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ১০ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

নতুন অর্থবছরের আসন্ন বাজেটে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ কিছুটা কমছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। এবার তা কমিয়ে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা করা হচ্ছে। এছাড়া টিআর-কাবিটার জন্যও থাকছে বাড়তি বরাদ্দ।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেটে বিশেষ কিছু থাকছে না। আগামী অর্থবছর থেকে অনেক কর্মসূচি কাটছাঁট হবে। মানবিক সহায়তা প্রতিবছর যেভাবে থাকে সেভাবেই আছে, সেক্ষেত্রে তেমন ব্যত্যয় ঘটেনি। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং গৃহ মঞ্জুরিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাতগুলোতে এমনিতেই প্রতিবছর অর্থ বরাদ্দ থাকে। এছাড়া প্রতি অর্থবছর দুর্যোগ মোকাবিলায় অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয় সরকার।

এদিকে নতুন অর্থবছরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারেও সতর্ক সরকার। বলা হচ্ছে, যেসব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে, অতীতে এ ধরনের প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও এবার সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত থেকে অনেকটাই সরে আসতে পারে সরকার।