শুরুটা করেছিলেন ধীরেসুস্থে। ২৫ বলে ২০ রান করে উইকেটে সেট হন এনামুল হক বিজয়। এরপর হাত খোলার চেষ্টা করেন। ইনিংসের দশম ওভারে সিকান্দার রাজাকে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান।
পরের বলেও একই জায়গা দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন বিজয়। সেটাই বিপদ ডেকে আনে। বল টাইমিং করতে না পেরে এবার ডিপমিডউইকেটে ক্যাচ হয়ে যান সাম্বার। ২৭ বলে ২ ছক্কায় ২৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন বিজয়।
এই প্রতিবেদন খেলা পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৬ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ১০ আর আফিফ হোসেন শূন্য রানে অপরাজিত আছেন। জিততে হলে ৬০ বলে আরও ১২০ রান করতে হবে।
২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য। শুরুটা যেমন করার দরকার ছিল, তেমন করতে পারেনি টাইগাররা। মারকুটে ব্যাটিং তো নয়ই, উল্টো শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।
বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে নামেন লিটন দাস আর মুনিম শাহরিয়ার। প্রথম ওভারে তারা নেন ৫ রান। দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন মুনিম। ওয়েলিংন মাসাকাদজার ঘূর্ণিতে শর্ট থার্ডম্যানে সহজ ক্যাচ দেন ৮ বলে ৪ করে।
এরপরই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন লিটন। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দেন পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৬০ রানের উড়ন্ত সংগ্রহ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন লিটন দাস। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই পাওয়ার প্লেতে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই অদ্ভূত এক আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে শন উইলিয়ামসের বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। এনগারাভা বলটা তালুবন্দী করলেও দ্রুত হাত থেকে ফেলে দেন। ফলে ক্যাচ আউট থেকে বেঁচে যান লিটন।
কিন্তু লিটন ভেবেছিলেন তিনি আউট হয়ে গেছেন। তাই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। ওই সুযোগে রানআউট করে দেন উইলিয়ামস। ১৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে গড়া লিটনের ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসটি থামে বোকার মতো আউটে।