দেশে খাদ্যশস্য ঘাটতি মেটাতে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৭২ দশমিক ৭৫ টন চাল ও গম নিয়ে ১০টি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। মিয়ানমার থেকে সাতটি এবং ভিয়েতনাম থেকে একটি জাহাজে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৯ দশমিক ৭৫ টন চাল এবং রাশিয়া থেকে দুটি জাহাজে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৮৪ টন গম আমদানি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) জ্ঞান প্রিয় বিদূর্শী চাকমা যুগান্তরকে জানান, জিটুজি চুক্তির আওতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় এ বিপুল পরিমাণ চাল ও গম আমদানি করেছে। ২৯ নভেম্বর ৫৫ হাজার টন গম নিয়ে ‘এমভি ফরচুন স্টার’ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। নমুনা পরীক্ষায় গম খাবার উপযোগী পাওয়া গেলে কয়েক দিনের মধ্যে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। চট্টগ্রাম সাইলোতে ৩৩ হাজার টন গম এবং মোংলা বন্দরে ২২ হাজার টন খালাস হবে।
৫ ডিসেম্বর ৪৯ হাজার ৫৮৪ টন গম নিয়ে ‘এমভি ক্যাসল’ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। নমুনা পরীক্ষায় গম খাবার উপযোগী পাওয়া গেলে কয়েক দিনের মধ্যে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। চট্টগ্রাম সাইলোতে ২৯ হাজার ৭৫০ দশমিক ৪০০ টন এবং মোংলা বন্দরে ১৯ হাজার ৮৩৩ দশমিক ৬০ টন গম খালাস হবে।
২৪ নভেম্বর ভিয়েতনাম থেকে ৯ হাজার টন আতপ চাল নিয়ে ‘এমভি অ্যান হায় ওরি’ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। ২৯ নভেম্বর থেকে চাল খালাস শুরু হয়। একই দিন মিয়ানমার থেকে ২১ হাজার ৩০০ টন আতপ চাল নিয়ে ‘এমভি ভিটিসি ওশান’ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। ২৯ নভেম্বর থেকে চাল খালাস শুরু হয়। ১ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে ১২ হাজার ২০০ টন আতপ চাল নিয়ে ‘এমভি ব্ল– লোটাস’ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। ২৯ নভেম্বর থেকে চাল খালাস শুরু হয়।
৬ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে ২ হাজার ৬৫০ টন আতপ চাল নিয়ে ‘এমভি এমসিএল-৭’ বহির্নোঙরে পৌঁছে। ৯ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে ২০ হাজার ১৮৯ দশমিক ৭৫০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে ‘এমভি বিএমসি ক্যালপসো’ বহির্নোঙরে পৌঁছে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে চাল খালাস শুরু হয়। এ ছাড়া এমভি এমসিএল-২১, ‘এমভি এটিএন গ্লোরি’ও এমভি নিউসান হারমনি’ তিনটি জাহাজ যথাক্রমে ২ হাজার ৬৫০ টন, ২১ হাজার টন ও ২৭ হাজার ৪০০ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে। এমভি এমসিএল-২১, ‘এমভি এটিএন গ্লোরি’ ও এমভি নিউসান হারমনি’ জাহাজ থেকে খালাস শুরু হলেও ‘এমভি নিউসান হারমনি’ থেকে খালাস শুরু হয়নি।