"বিজয়ের দৃপ্ত শপথে উন্নত,সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে" কক্সবাজারে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, "স্বাধীনতার ৫০ বছরের রাজনীতির ইতিহাসে সুদূরপ্রসারী বহু ঘাত—প্রতিঘাত, সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধ সামরিক শাসনে হত্যাকাণ্ড—ষড়যন্ত্রের রাজনীতি, জাতীয়—আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং নানা চড়াই—উতরাই ও অন্ধকারের যুগ পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন—সমৃদ্ধির মহাসোপানে। বিশ্ব দরবারে এক বিস্ময়। টানা মেয়াদে সরকার পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে। কিন্তু এই অগ্রযাত্রা রুখে দিতে সদা তৎপর স্বাধীনতা বিরোধীরা। তাই তাদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. রনজিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ, এড. তাপস রক্ষিত, ডা. নুরুল আবছার, কাউন্সিলর এম.এ মনজুর, হেলাল উদ্দিন কবির, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কক্সবাজারের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান সাংবাদিক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, সহ-সভাপতি সেলিম নেওয়াজ, আসিফ উল মাওলা, ডা. পরিমল দাশ, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন, শাহেদ আলী শাহেদ প্রমূখ।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম বলেন, তিন দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান মালায় সাজানো এবারের আয়োজন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবারের আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো আগামী প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আরও শানিত করা।