আজ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

২৮ অক্টোবর জামায়াতের সমাবেশ করার বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা অফিস : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:২৪:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করার এখনো কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তবে তিনি বলেন, ‘দেশের নিয়ম-কানুন মেনে যে কেউ কথা বলতে পারে।’ 

 

আজ দুপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। 

 

জামায়াতে ইসলামী সভা-সমাবেশ করতে চাইছে, তাদের অনুমতি দেবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনো কাউকে পারমিশন দিইনি। স্পষ্টভাবে জানা উচিত, আমরা কাউকেই পারমিশন দিইনি।’

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২৮ অক্টোবর নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। জামায়াত এর আগেও দুয়েক জায়গায় আলোচনা করেছে। দেশের নিয়ম-কানুন মেনে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা মেনে যে কেউ যে কোনো কথা বলতে পারে। জামায়াত বলতে কোনো কথা নেই। দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা আছে। আমদের কথা হলো, আইন-কানুনের মধ্যে থেকে তারা কথা বলতে পারে।’

 

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁরা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। বিষয়টি আমি পরে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দিয়েছি। তাঁর সঙ্গে চারটি বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর বিরোধী দল বিএনপি যে লাখো মানুষের সমাবেশ করবে, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, এটি গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে যে কেউ সমাবেশ করতে পারে। যে কেউ তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে। কিন্তু সেটার একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা আছে। জনগণের সম্পত্তি, যানবাহন কিংবা বাধা সৃষ্টি না করতে তাদের প্রতি অনুরোধ করব।’

 

২৮ অক্টোবর রাজধানীতে প্রবেশ বন্ধ করে দেবেন কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঢাকায় প্রবেশপথ আমরা কেন বন্ধ করব? ব্যবসায়িক, চাকরিসহ বিভিন্ন কাজে লোকজন ঢাকায় আসেন। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে অফিস-আদালত করা লোকজনও ঢাকায় আসেন। কাজেই ঢাকার পথ কেন আমরা বন্ধ করব?’

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনসার সদস্যরা পুলিশের সমান ক্ষমতা পাচ্ছে বলে যেসব খবর প্রচারিত হচ্ছে, সেগুলো সত্য নয়। যে নতুন আইনটি হচ্ছে ,সেটা আনসার সদস্যরা পুলিশের সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করবেন। আইনটি এখনো সংশোধন করার সুযোগ আছে। কোনো অসংগতি থাকলে সেটা ঠিক করা যাবে।