আজ বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

হোয়ানক আদর্শ বিদ্যাপীঠে ভবন না থাকায় টিনশেডে পাঠদান! ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী

সরওয়ার কামাল, মহেশখালী : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:০৪:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক  আদর্শ বিদ্যাপীঠে ভবন না থাকায় পাঠদান করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বিভিন্ন সময় ঝড়ে কালবৈশাখী বাতাসে উড়ে গেছে বিদ্যালয়ের টিনের চাল। বিদ্যালয় কক্ষে জোড়াতালী দিয়ে ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা জানান, রোদে ক্লাস করতে খুব কষ্ট হয় তাদের। বৃষ্টি শুরু হলে কোথাও আশ্রয় নেওয়ার আগেই তাদের জামাকাপড় ও বইখাতা ভিজে যায়। তখন থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-তুফানেও পাঠদান দিতে হয় বেড়ার ও টিনশেড ঘরে। যার ফলে দিনদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ছোট-ছোট শ্রেণী কক্ষে পাঠদান দিতে চরম হিমশিম খেতে হয় শিক্ষকদের।

অন্যদিকে বিদ্যালয়টির একটি পাকা রাস্তার পাশে অবস্থিত। সীমানা প্রাচীর না থাকায় সুপারী গাছ ও বাঁশ দিয়ে কোন রকম সীমানা প্রাচীর দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে স্থাপিত হয়। ২০১৯ সালে এসে এটি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়ে ৫শ থেকে ৬শত জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

নতুন একটি ভবনের আশ্বাসে এভাবে দীর্ঘ কয়েক যুগ ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি কক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ঘরে পাঠদান দেওয়া হয়। বৃষ্টি আসলে পাঠদান নিয়ে কষ্ট হয়। রোদ-গরমে ক্লাস করতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। গরমের কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলেও আসতে চান না। দ্রুত একটি নতুন ভবন হলে শিক্ষার্থীরা পাঠদানে সুবিধা হবে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরো জানান, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ক্লাস রুম না থাকায় আমাদের দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয়। এতে কষ্টের সীমা থাকেনা। একটি নতুন বহুতল ভবন খুবই দরকার আমাদের। বিদ্যালয়টির সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ ইসহাক জানান, স্কুলটি প্রতিষ্টা হওয়ার পর থেকে ভোগান্তির শেষ নেই। পড়ন্ত রোদে ক্লাস নিতে বিরক্তিকর লাগে। ঝড়-বৃষ্টিতে তেমনি ক্লাস নিতে আরো, দুর্ভোগে পড়তে হয়। এছাড়াও দিনদিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা একেবারে কমে যাচ্ছে। নতুন একটি ভবনের আশায় আমরা আছি।

হোয়ানক আর্দশ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাফর আলম জানান, পুরানো বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন একটি ভবনের অপেক্ষায় রইলাম দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। তবে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি কোনো ভবন। তাই বাধ্য হয়ে টিনশেড ঘরে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে আবার প্রায় প্রতিদিনই কমছে শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। দ্রুত স্থানিয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান নোফেলসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদফতর একটি নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ করবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে। এমনটাই দাবি সকল শিক্ষকদের। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, খুব কষ্টের সহিত বিদ্যালয়টি টিকিয়ে রেখেছি। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের আমলে অবহেলিত  বিদ্যালয়টি বহুতল ভবন নিমার্ণ আমাদের প্রাণের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।