ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ স্থলভাগে উঠে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
ফলে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আর বিশেষ বার্তা দেবে না আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। দুর্বল হয়ে বর্তমানে পটুয়াখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
এই অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।