ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে। ভোর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ডুবে গেছে ঘাটে নোঙর করা ১৩টি ফিশিং ট্রলার। স্থানীয়রা বলছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে শিগগিরই খাদ্য সংকট দেখা দেবে দ্বীপে।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ইতোমধ্যে সেন্ট মার্টিনে একটি সার্ভিস বোটসহ ছোট-বড় ১৩টি ট্রলার ডুবে গেছে। টেকনাফ থেকে সব ধরনের ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার কারণে খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, সাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার কারণে হুমকির মুখে রয়েছে সেন্ট মার্টিন। দ্বীপে খাদ্যের মজুত নেই। কারণ আমরা দিনের বাজার দিনে আনি। সব ধরনের ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে গাছপালা ভেঙে পড়ছে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, গাছপালা ভেঙে পড়ার কারণে প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ট্রলার ডুবে গেছে। লোকজনকে নিরাপদে রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় কাজ চলছে। সমুদ্রবেষ্টিত সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়া ৪ শতাধিক পর্যটককে পর্যটকবাহী জাহাজের মাধ্যমে গতকাল রাতে ফিরিয়ে আনা হয়। এই মুহূর্তে সেখানে কোনো পর্যটক আটকে নেই।