আজ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪, ২রা আষাঢ় ১৪৩১

সাতকানিয়ার পল্লী চিকিৎসক আবছারসহ ৪ আসামী জেলে

নুরুল ইসলাম সবুজ, সাতকানিয়া : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২২ মে ২০২৪ ০৭:৫৪:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ঢেমশা ইউনিয়নে জায়গা জমির বিরোধ ও চাঁদাবাজির মামলায় পল্লি চিকিৎসক আবছারসহ ৪ আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ২১মে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুনাইদুল হকের আদালতে পল্লী চিকিৎসক আবছারসহ ৫ আসামী আত্মসমর্পণ করলে বাদী পক্ষের আইনজীবী ও আসামী পক্ষের আইনজীবীর দীর্ঘ শুনানীর পর বিজ্ঞ বিচারক ১জন আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন এবং ৪জন আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আসামীরা হলেন সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ঢেমশা মাইজ পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে মোহাম্মদ আবছার (৪৫) ও মোহাম্মদ হোসেন (৩৬) এবং একই এলাকার আব্দুস ছোবহানের ছেলে মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (৪০) ও মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন (৩৮) বলে জানা যায়। মামলায় অভিযুক্ত ৭জন আসামীর মধ্যে ৫জন আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ৪জন আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হলে একই এলাকার মৃত আদু মিয়ার ছেলে আব্দুর করিমকে (৫৮) বিজ্ঞ চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জুনাইদুল হক জামিন প্রদান করেন। উক্ত মামলায় একই এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে মোস্তাক (৪০) ও মোহাম্মদ  হেলাল (২৮) পলাতক রয়েছেন। উল্লেখ্য ২০২২সালের ২৫ সেপ্টেম্বর  আসামীরা বাদী মোহাম্মদ ইদ্রিসকে ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারধর করে এবং বাদীর ক্রয়করা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ঢেমশা মৌজার আর এস খতিয়ান নং-১৭১০ যার দাগ নং-২৮১৫ এবং বিএস খতিয়ান নং-১১১৯ যার দাগ নং-৯১৯৫ যা বর্তমানে ৪১৫০/৪২১৫ নামে নামজারী খতিয়ানের তৎ অধীনে নামজারী ৪৩৩৯নং খতিয়ানের বিএস ৯১৯৫দাগের আন্দর ৫.৮৭ শতক জায়গার উপর দেওয়া  ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে এবং ইট বালি নষ্ট করিয়া দেয়।যার আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১লক্ষ টাকার মত হবে বলে মামলার নথিতে উল্লেখ আছে। মারধর করার পরেও ১০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ আছে। এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে ২০২২সালের  ১১অক্টোবর সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ঢেমশা ইউনিয়নের হাজি আমির আলি বাড়ির মোহাম্মদ ইদ্রিস (৪৯) আদালতে হাজির হয়ে ৭জন আসামীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫জন আসামি দেখিয়ে মামলা করেন।যার সি আর মামলা নং-৫১৭/২০২২ইংরেজি এর মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক সুব্রত দাশ তদনন্ত করে ঘটনার সত্যতা খোঁজে পেয়েছে বলে ১৪৩/৪৪৭/৩২৩;/৩৮৫/৪২৭/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড় ধারায় অভিযুক্ত করেন।এই মর্মে ২০২৪সালের ১০মার্চ আদালতে তদন্ত দাখিল করেন।এই তদন্তের আলোকে আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এব্যাপারে মামলার বাদী  মোহাম্মদ ইদ্রিচ বলেন,আমি জায়গার মালিক আমার নামে বিএস নামজারী রয়েছে। বিবাদীদের কোন প্রকার ডকুমেন্ট নেই। এরপরেও বিবাদীরা অন্যায়ভাবে আমার জায়গার উপর হস্তক্ষেপ করছে,আমাদেরকে মারধর করছে।আমার থেকে চাঁদা দাবি করছে। এবং এখনো আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই এবং আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই বলে জানান। বাদী পক্ষের আইনজীবী আতাউর রহমান বলেন আমরা একটি সুষ্ঠু বিচার পেয়েছি। এ বিচারের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যূদের কাছ থেকে জনগণ রেহাই পাবে। এব্যাপারে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল লতিফের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিবাদী পক্ষের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।