আজ শনিবার ৪ মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১

সাতকানিয়ায় জনতা ধরে পুলিশকে দিল ৪ সন্ত্রাসী "অস্ত্র উদ্ধার"

নুরুল ইসলাম সবুজ, সাতকানিয়া : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২০ জানুয়ারী ২০২৪ ০৭:৪১:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

সাতকানিয়ায় নিজ জমির ঘাস কাঁটতে বাঁধা দিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে চড় দেওয়ায় সাবেক এক ইউপি সদস্যকে দলবল নিয়ে গুলি করতে গেলে জনতা চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ সময় এক যুবকের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক উদ্ধার করা হয়। গতকাল (শনিবার) দুপুরে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড মাদারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কেঁওচিয়া ৯নং ওয়ার্ড ইউপিনর সাবেক মেম্বার আব্দুল মন্নান। আটককৃতরা হলেন,সাতকানিয়ার ৮নং ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা ৪নং ওয়ার্ড আলমগীর পাড়ার হারুনুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন (২৪),একই এলাকার মোহাম্মদ হারুনের ছেলে সামিউল হাসান সানজিদ (২৫),একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মাইজপাড়া এলাকার মোরশেদ আলমের ছেলে জাসেদ বিন সালেহ (২৩) ও একই এলাকার মোঃ.হেলাল উদ্দিনের ছেলে শাহাদাত হোসেন মিশলু (২৩)। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন,আমার গরুর খামারের কিছু দূরে গরুর জন্য ০১ একর জায়গায় ঘাসের চাষ করেছি। কয়েকদিন ধরে কে বা কাহারা জমির ঘাসগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা আমি স্থানীয় দোকানদারদের দেখতে বলি। আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ৪-৫ জন যুবক জমি থেকে ঘাস কাঁটছে। কেন ঘাস কাটছে জিজ্ঞাসা করলে তাদের সাথে তর্কের এক পর্যায়ে ফয়সাল নামে এক যুবককে চড় মারলে সে খবর দিয়ে ১০-১৫ জন যুবককে নিয়ে আসে। পরে তাদের সাথে থাকা অস্ত্র নিয়ে আমাকে গুলি করতে ধাওয়া করলে আমি অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে পড়ি।  স্থানীয় জনতা সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে ৪ জনকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। আব্দুল মান্নান আরও বলেন,ঘটনাস্থল থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও সিসিটিভির ফুটেজে আরও ৩টি অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতা কর্তৃক আটককৃত চার যুবককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় ফয়সাল উদ্দিনের কাছ থেকে একটি এলজি উদ্ধার করা হয়।  সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আতাউল হক বলেন,অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।