আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার গঠন নয়, বিরোধী দল হিসেবে সংসদে যাওয়ার ইঙ্গিত পিটিআইয়ের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২:৫৭:০০ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বিরোধী দল হিসেবে সংসদে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

 

পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের অবস্থানের সঙ্গে আপস করার বদলে বিরোধী দল হিসেবে সংসদে যাবেন তারা।

 

ব্যারিস্টার গহর বলেছেন, “আমাদের অবস্থানের সঙ্গে আপস করার বদলে আমরা বিরোধী আসনে বসাকে প্রাধান্য দেব এবং এ বিষয়ে আগামী এক-দুইদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”

 

এছাড়া গহর দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচনে অন্তত ৭০টি আসনের ফলাফল বিতর্কিতভাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলোর সমাধান করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

এছাড়া পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে পরবর্তীতে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন)— এ যোগ দেওয়া ওয়াসিম কাদেরকে নিয়েও কথা বলেছেন ব্যারিস্টার গহর। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা জানতে পেরেছেন এবং বিষয়টি দেখবেন। তবে ওয়াসিম কাদেরের সঙ্গে তাদের আপাতত কোনো যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

ব্যারিস্টার গহর বলেছেন, “অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন এবং থাকবেন। আমরা পূর্বে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে কিছু প্রার্থী তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবেন। কিন্তু আমাদের ওয়াসিম কাদেরের ওপর আস্থা ছিল।”

 

“ওয়াসিম দলের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু এক দলের সমর্থন নিয়ে আরেক দলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি কোনো ভালো প্রথা নয়।”

 

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমরান খানের পিটিআইয়ের নেতারা স্বতন্ত্র হিসেবে অংশগ্রহণ করে। স্বতন্ত্রের টিকিটে নির্বাচন করলেও জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তারা ৯৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। অপরদিকে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এন  (পিএমএলএন) পেয়েছে ৭৫টি আসন। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৪টি আসন পেয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।

 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রোববার রাতে পিএমএলএন এবং পিপিপির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা বৈঠক করেছেন। এরপর তারা একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে দল দুটি জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানকে বাঁচাতে’ একসঙ্গে কাজ করবে তারা। এরমাধ্যমে ধারণা করা হচ্ছে, পিএমএলএন ও পিপিপি সরকার গঠনে হয়ত কোনো সমঝোতায় পৌঁছেছে।